ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

শামীমের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল শুভসংঘ

শুভসংঘ ডেস্ক
শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
শামীমের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল শুভসংঘ
ধামরাইয়ের কালামপুরে শামীম হোসেনের পড়াশোনার দায়িত্ব নিল শুভসংঘ

ধামরাই উপজেলার কালামপুরের গ্রিন টাচ স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শামীম হোসেন। মা-বাবা ও বোনকে নিয়ে ভালোই কাটছিল দিন। হঠাৎ এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান শামীমের বাবা। শামীমের পরিবারে নেমে আসে দুর্ভোগ।

পরিস্থিতি সামাল দিতে শামীমের মা বিসিক অফিসে ঝাড়ুদারের কাজ নেন। কিন্তু সামান্য আয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে তাঁর। এবেলা খাবার জোটে তো ওবেলা জোটে না। এর মধ্যে তাঁর দুই ছেলে-মেয়ের পড়ার খরচ জোগানো একেবারেই দুরুহ হয়ে পড়ে।
শামীমের পরিবারের এই দুর্ভোগের চিত্র নজরে আসে শুভসংঘের। দুর্দশাগ্রস্ত এই পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে শামীমের জন্য প্রতি মাসে ব্যবস্থা করা হয় শিক্ষাবৃত্তির। সম্প্রতি শামীমের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষাবৃত্তির প্রথম মাসের টাকা তার হাতে তুলে দেয় শুভসংঘ ধামরাই উপজেলা শাখা। শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে শামীমের চোখেমুখে তখন আনন্দের ছাপ।
শামীম তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলে, ‘বাবা হারানোর পর চোখেমুখে অন্ধকার নেমে এসেছিল। ভেবেছিলাম, পড়াশোনার ইতি টানতে হবে। মায়ের একার রোজগারে সংসার চলে না। বোনটাও সবেমাত্র পড়াশোনা শুরু করেছে। তাই ভেবেছিলাম, কাজে নেমে পড়ব, কিন্তু শুভসংঘ আমার অন্ধকার জীবনে একটু হলেও আলো এনে দিয়েছে।
আমার পড়াশোনা বন্ধ হতে দেয়নি। শুভসংঘকে ধন্যবাদ দিলে ছোট করা হবে। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, শুভসংঘ আমার মতো মাঝপথে হারিয়ে যাওয়া হাজারো শামীমের পথের দিশারি হবে। ’

ধামরাই শুভসংঘের সভাপতি মেহবিন আক্তার মুসফিকা বলেন, ‘শুভসংঘ সব সময় শুভ কাজে সবার পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা শামীমের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাব সব সময়। আমরা ভবিষ্যতেও আমাদের এই শুভ কাজের ধারা অব্যাহত রাখব।’

শামীমকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করার জন্য উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা শুভসংঘের বন্ধু, আফরিনা তাবাসসুম, ওয়াসিম আকরাম, রাকিবুল হাসান সিয়াম প্রমুখ।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

    মো. মিজানুর রহমান, ওসি, পাটগ্রাম থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ

প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।

এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে, তাদের পরিবারে ফিরবে সচ্ছলতা। এর মাধ্যমে সমাজের পাশাপাশি উপকৃত হবে আমাদের দেশ। পাটগ্রামে যে অসচ্ছল নারীরা সেলাইয়ে দক্ষ হয়ে উঠে মেশিন পেলেন, তাঁদের মাধ্যমে উপকৃত হবে আরো অনেকে। তাঁরা এখন আশপাশের অনেক নারীকে কাজ শেখাতে পারবেন।
বসুন্ধরার এই কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে চলতে থাকুক, তাদের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ুক।

মন্তব্য

নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

    দীন মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ্, ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন অফিসার, বুড়িমারী স্থলবন্দর লালমনিরহাট
শেয়ার
নিঃসন্দেহে মহৎ কাজ

গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।

এমন কাজের উদ্যোক্তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন। সমাজের তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে এমন কাজের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে ধন্যবাদ জানাই দেশের শেষ প্রান্তের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোর একটি পাটগ্রামকে বেছে নেওয়ার জন্য। আমরা আশা করব, বসুন্ধরা শুভসংঘের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ পিছিয়ে পড়া এ ধরনের এলাকার আরো বেশিসংখ্যক অসচ্ছল-অসহায় নারীকে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেবে।
শুভ কামনা বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য।

মন্তব্য

মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

    মো. মাহমুদুন-নবী, ওসি, হাতীবান্ধা থানা লালমনিরহাট
শেয়ার
মেশিনটি একটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন

বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবেএমনটাই আশা করি।

তাদের এই ভালো কাজের মাধ্যমে যেন অনগ্রসর মানুষগুলো এগিয়ে যায়। একেকটি সেলাই মেশিন একেকটি পরিবারের বাঁচার অবলম্বন হতে পারে। এই মেশিন চালিয়ে অসচ্ছল এসব নারী ধনাঢ্য হয়ে না উঠলেও তাঁদের পরিবারগুলোতে সচ্ছলতা ফিরবে। কর্মহীন মানুষকে এভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই প্রক্রিয়া দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার একটি পথ হতে পারে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ তাদের এমন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখুক। তাদের জন্য শুভ কামনা।

মন্তব্য

বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

    মনোয়ার হোসেন লিটন, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পাটগ্রাম উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট
শেয়ার
বসুন্ধরাকে দেখে অন্যরাও এগিয়ে আসুক

সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।

অসহায় বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিংবা কর্মহীন নারী-পুরুষের জন্য আমাদের সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ বা বিভিন্নভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে পারলে সমাজ থেকে অভাব বিতাড়িত হবে। আবার এসব মানুষের জীবনে চলার কষ্টও দূর হবে। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে মানুষ হিসেবে আমরাও আমাদের সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারব, যা দেখে শিখবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
বসুন্ধরা গ্রুপকে অনুসরণ করে অন্যরাও ভালো কাজে এগিয়ে আসুক।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ