♦ রাজশাহী ♦
জমেলা বেওয়া। বয়স প্রায় ৭৫। চোখ-মুখে অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগব্যাধি।
♦ রাজশাহী ♦
জমেলা বেওয়া। বয়স প্রায় ৭৫। চোখ-মুখে অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগব্যাধি।
কম্বল বিতরণ শেষে স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাগ বিতরণ করা হয়। ব্যাগ হাতে পেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলে, ‘কোনো দিন ব্যাগ নিয়ি স্কুল য্যাতি পারিনি। হাতে করি বই নি স্কুল গিছি।
ধামইরহাটে শুভসংঘের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়
♦ ধামইরহাট ♦
মো. হারুন আল রশীদ
নওগাঁর ধামইরহাটে শুভসংঘের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায়, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইস্রাফিল হোসেন, ব্যবসায়ী আলহাজ মাহবুব আলম বাবু, শুভসংঘের সভাপতি প্রভাষক আব্দুর রহিম, সহসভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাগর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজুয়ান হোসেন, নারীবিষয়ক সম্পাদক সুমী রাণী সাহা, কার্যকরী সদস্য শ্রী রনজিত প্রসাদ, মো. হাসান ও মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক।
এ ছাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চকময়রাম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শুভসংঘের উদ্যোগে ১০৭ জন শীতার্ত মানুষকে কম্বল দেওয়া হয়। বেনফিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক তাছলিমা কাউছার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর যুগ্ম সম্পাদক মো. আলমগীর কবিরসহ অনেকের সহযোগিতায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চকময়রাম সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শুভসংঘের উপদেষ্টা এস এম খেলাল-ই-রব্বানী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এ টি এম বদিউল আলম, শুভসংঘের উপদেষ্টা প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
গাইবান্ধার একটি মাদরাসা ও এতিমখানার শিশুদের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছে শুভসংঘ
♦ গাইবান্ধা ♦
অমিতাভ দাশ হিমুন
‘বন্যার সময় হামার বাড়িঘর ধসিয়া গেচে, কোনমতে সারাই করিয়া বেড়ার ঘরোত থাকি। এই শীতোত হু হু করিয়া বাতাস ঢোকে। হাড়-হাড্ডি কাঁপি ওঠে। তোমরা হামার বড় উপকার করলেন। তোমারঘরের ভালো হোক।’ শুভসংঘের দেওয়া কম্বল হাতে বললেন শহরের নতুন ব্রিজসংলগ্ন ব্রহ্মপুত্রপারের মলিমা বেগম। একই এলাকার মৎস্যজীবী পরিবারের সাধনা রানী বলেন, ’সরকারের দেওয়া কম্বল তো আর সগল্যে পায় না। শীতোত খুব কষ্ট! ম্যালা কাজে নাগব্যে এই কম্বল। তোমারঘরের পেপারের ভালো হোক।’ জেলা শুভসংঘের উদ্যোগে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক শিশু, নারী ও পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণের সময় তাঁরা এসব কথা বলেন। তাঁদের খুশিভরা মুখ দেখে শুভসংঘের সদস্য দেবী সাহা জানায়, ’মানুষগুলোর মুখে হাসি দেখে মন ভরে গেছে।’ স্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সুরবাণী সংসদ চত্বরে কম্বল বিতরণ উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা প্রেস ক্লাব সম্পাদক সাহিত্যিক আবু জাফর সাবু। এ ছাড়া তীব্র শীতের এই সময়ে গাইবান্ধার দক্ষিণ ধানঘড়া সোবহানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার এতিম শিশুদের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছে শুভসংঘ জেলা শাখার বন্ধুরা। সম্প্রতি এ উপলক্ষে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শুভসংঘের জেলা সভাপতি প্রমতোষ সাহা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তৌহিদা মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান চান, শিক্ষক হাফেজ মো. আবু বকর, ইসমাইল হোসেন ও কালের কণ্ঠ’র জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুন। পরে এতিমখানায় বসবাসকারী শিশুদের হাতে কম্বল তুলে দেন শুভসংঘের বন্ধু দেবী রানী সাহা, লতা সরকার, মেঘলীনাদ্যুতি, তানহা তাসফিয়া পূর্ণতাসহ অন্যরা। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আবদুস সোবহান শুভসংঘের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘এতিম শিশু ও আমাদের সবার দোয়া শুভসংঘের জন্য। আগামীতে এভাবেই তাদের পাশে চাই।’
বদলগাছীতে শুভসংঘের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
♦ বদলগাছী ♦
এমদাদুল হক দুলু
নওগাঁর বদলগাছীতে শুভসংঘের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রচণ্ড শীতে কম্বল পেয়ে খুশি ৪৪টি হতদরিদ্র পরিবার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা. আবু তাহিরের সহযোগিতায় শুভসংঘের আয়োজনে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে এই কম্বল বিতরণ করা হয়। শুভসংঘের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাহারুল ইসলাম। আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জবির উদ্দীন, ব্যবসায়ী মো. সামসুল আলম, মো. শহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোসাদ্দেক হোসেন মুসা, সহকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বিদ্যুৎ, মলিন কুমার, খাদেমুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ শ্যামল প্রমুখ।
অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বগুড়ার ধুনট উপজেলা শাখার বন্ধুরা
♦ ধুনট ♦
ইমদাদুল হক ইমরান
শুভ কাজে সবার পাশে স্লোগানে প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, এতিম, শিক্ষার্থীসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটায় শুভসংঘ। এবার এমনই কাজ করেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলা শাখার বন্ধুরা। খবরের কাগজ বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের খবর পেলেই ছুটে গিয়েছে তাদের বাড়ি। ৩০০ হতদরিদ্র শীতার্ত পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে তারা। প্রেস ক্লাব চত্বরে এই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা। আরো উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ ধুনট উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও কালের কণ্ঠ’র ধুনট প্রতিনিধি রফিকুল আলম, ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ সাহা, পীরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, শুভসংঘ উপজেলা শাখার সভাপতি রেজাউল হক মিন্টু, সহসভাপতি আলী আজগর মান্নান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমরান, সহসাধারণ সম্পাদক ইবনে সউদ জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবা আকতার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাবুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জহুরুল মল্লিক, সদস্য শিথিলা খাতুন সেতু, জলি খাতুন প্রমুখ।
গাইবান্ধায় দ্বিতীয়বারের মতো শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দিয়েছে শুভসংঘ
ধামইরহাটে দ্বিতীয়বারের মতো কম্বল বিতরণ করেছে শুভসংঘ
সুনামগঞ্জ শুভসংঘ বন্ধুদের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ
♦ রাজবাড়ী ♦
জাহাঙ্গীর হোসেন
শুভসংঘ রাজবাড়ী জেলা শাখার উদ্যোগে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কম্বল দেওয়া হয়েছে। জেলা শুভসংঘের সভাপতি মোহাম্মদ সরোয়ার মোর্শেদ খান স্বপনের সভাপতিত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ মণ্ডল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শুভসংঘের নারীবিষয়ক সম্পাদক গুলশান আরা মোস্তফা মিতা।
♦ লোহাগাড়া ♦
নাহিয়ান চৌধুরী
শুভসংঘ লোহাগাড়া উপজেলার শাখার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার জিল্লুর রহমান, শোয়েবুল ইসলাম, নুরুল হাসান বাবলু এবং এ জে চোধুরীসহ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মকছুদুর রহমান, রতসেন বড়ুয়া, শেখ ছোটন, মো. ফয়সাল, রিদুয়ানুল হক প্রমুখ।
সম্পর্কিত খবর
প্রান্তিক পর্যায়ের সীমান্ত এলাকার দারিদ্র্যপীড়িত, অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। তারা পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যে কাজ করছে, সেটা প্রশংসাযোগ্য। আমি দাবি জানাই, আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে যেন বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসে। যারা এ ধরনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করবে, তাদের সাহায্য করবে।
গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারের নারীদের স্বাবলম্বী করতে বসুন্ধরা গ্রুপ যে কাজগুলো করছে, এটা নিঃসন্দেহে অনেক মহৎ কার্যক্রম। কারণ ছিন্নমূল, অসহায়, দুস্থ নারীদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষে উপহার হিসেবে সেলাই মেশিন বিতরণ ব্যতিক্রমী আইডিয়া। এই মেশিনই একদিন অসচ্ছল নারীদের বাঁচার অবলম্বন হয়ে দাঁড়াবে। এ ধরনের উদ্যোগ আমার দেখা সব ভালো কার্যক্রমের মধ্যে একটি।
বিনামূল্যে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ আধুনিক ও টেকসই আইডিয়া। এর মাধ্যমে হাতীবান্ধা উপজেলার নারীদের, বিশেষ করে অনগ্রসর নারীদের জীবন ও জীবিকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এটি অত্যন্ত মহতী একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এই শিল্পগোষ্ঠী তাদের মহৎ কাজগুলো আরো বেগবান করবে—এমনটাই আশা করি।
সেলাই মেশিন প্রদানের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপ ও বসুন্ধরা শুভসংঘ অসহায় সুবিধাবঞ্চিত নারীসমাজকে এগিয়ে নিতে যে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এটা অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাদের সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে, এটাই কামনা করছি। পাশাপাশি সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সবাইকে মানবকল্যাণে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।