ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

শুভসংঘের নতুন কমিটি

notdefined
notdefined
শেয়ার
শুভসংঘের নতুন কমিটি
গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজ শুভসংঘের নতুন কমিটির বন্ধুরা

গলাচিপা সরকারি কলেজ

সাইমুন রহমান এলিট

শুভ কাজে সবার পাশে স্লোগানে গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজে শুভসংঘের নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  সম্প্রতি কলেজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত সভায় উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাকিব হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গলাচিপা সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও শুভসংঘ গলাচিপা শাখার প্রধান উপদেষ্টা মো. ফোরকান কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি কলেজের প্রভাষক নাসরিন সুলতানা, আ. ওহাব মিয়া, সালেহ মাহমুদ, ইয়াকুব হোসেন, কালের কণ্ঠ’র উপজেলা প্রতিনিধি সাইমুন রহমান এলিট, উপজেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিতু আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব খন্দকার, সহসাংগঠনিক সম্পাদক নুহ নাসির উল্লাহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন, ক্রীড়া সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে কণ্ঠভোটে সভাপতি  খালিদ ইবনে ওয়ালিদ, সাধারণ সম্পাদক ঋতু পাল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমিনুল ইসলাম নির্বাচিত হন।

 

অভিষেক অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে শুভসংঘ পাবনা জেলা কমিটির বন্ধুরা

পাবনা জেলা কমিটি

আহমেদ উল হক রানা

আনন্দ আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ, গান, আবৃত্তি আর সুধীজনদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে শুভসংঘ পাবনা জেলা শাখার পরিচিতিসভা ও অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে। অভিষেকে আসা অতিথিরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামী দিনে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চেতনায় শুভসংঘের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। শুভসংঘ ভালো কাজ আর সম্ভাবনাকে তুলে ধরে শত বছর টিকে থাকুক—এমন প্রত্যাশাও ছিল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবার। গত ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ।

কালের কণ্ঠ’র পাবনা প্রতিনিধি আহমেদ উল হক রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস, রানা প্রপার্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপারসের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন রানা বিশ্বাস রানা, পাবনা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, শুভসংঘের কেন্দ্রীয় পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সোহেল রানা স্বপ্ন, ডা. মঞ্জুর এলাহী, উত্তরণ সাহিত্য আসরের সভাপতি আলমগীর কবীর হৃদয়, সাংবাদিক উৎপল মির্জাসহ অন্যরা। অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভালো কাজ করে তরুণরা এগিয়ে যাবে। সংগঠন হচ্ছে একজন মানুষের অলংকার। এটাই তার সৌন্দর্য।
শুভসংঘ এগিয়ে যাবে আরো অনেক দূর। অধ্যাপক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, পাঁচজন মিলে একটি ভালো কাজ, ভালো উদ্যোগ অনেক সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারে। ভালো কাজের জন্য সব সময় শুভসংঘ ছিল এবং থাকবে। নবগঠিত পাবনা জেলা কমিটির সভাপতি শিশির ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন হোসেন লিমন।

 

কলাপাড়া উপজেলা শাখা শুভসংঘের নতুন কমিটির বন্ধুদের বৃক্ষরোপণ

কলাপাড়া উপজেলা

জসীম পারভেজ

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সম্প্রতি খেপুপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে শুভসংঘ কলাপাড়া উপজেলা শাখা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, ছাত্র, শিক্ষকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে ২৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। হাবিবুর রহমান টিকলুকে সভাপতি, আতিকুর রহমান মিরাজকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—সহসভাপতি সোহেলী পারভীন, জান্নাত আরা ফেরদৌসী, সহসাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার, নুসরাত জাহান সাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজীল জামান জয়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. শাহীন মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ নাসরীন আক্তার ডলি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হৈমন্তী শুকলা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার তৃশা, ক্রীড়া সম্পাদক অভি সেন, নারীবিষয়ক সম্পাদক নাসরিন আক্তার সম্পা, কার্যকরী সদস্য আশিকুর রহমান, শ্রাবন্তী হাওলাদার, ইমরান হোসেন, প্রত্যয়, নাসরীন আক্তার, খাদিজা বেগম, মো. জহিরুল ইসলাম, ঝুমুর আক্তার, মো. রাতুল, মুক্তামণি। প্রধান উপদেষ্টা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু সাইদ। অন্য উপদেষ্টারা হলেন—মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার, নাট্যকার মো. ফিরোজ আলম, উপজেলা পরিষদের সদস্য এবং সমাজসেবক শাহীনা পারভীন সীমা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নমিতা দত্ত।

 

দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখা শুভসংঘের নতুন কমিটির বন্ধুরা

দিনাজপুর সরকারি কলেজ

মো. রাসেল ইসলাম

দিনাজপুর জেলার সুপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ দিনাজপুর সরকারি কলেজের একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থী নিয়ে শুভসংঘের যাত্রা শুরু হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় শুভসংঘ জেলা শাখার আয়োজনে কলেজ ক্যাম্পাসে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার প্রধান অতিথি দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমাদের কলেজে আজ যারা শুভসংঘের সঙ্গে যাত্রা শুরু করল, তারা নিশ্চয়ই আগামী দিনে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কাজ করবে। বাল্যবিয়ে ও যৌতুককে না বলবে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলবে। শুভসংঘের মতো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনই পারে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস উপহার দিতে। আলোকিত মানুষ তৈরি করতে। আশা করি, শুভসংঘের প্রতিটি সদস্য হবে সব ধরনের মাদকমুক্ত। তাদের আচার-আচরণে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যরাও এগিয়ে আসবে শুভ কাজ করতে। আলোচনাসভা শেষে অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেনকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য উপদেষ্টারা হলেন—দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুদুল হক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস। মো. রাশিদুল ইসলামকে সভাপতি ও জিনিফা ইফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—সহসভাপতি মোক্তারুল ইসলাম ও পারিয়ার হোসেন ময়ূরী, যুগ্ম সম্পাদক মো. পারভেজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাদুর দেবশর্মা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান, দপ্তর সম্পাদক বিনয় চন্দ্র রায়, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ইভেন্ট সম্পাদক হুমায়ন পারভেজ, সাহিত্য সম্পাদক টুম্পা, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক অসীম চন্দ্র রায়, সমাজকল্যাণ সম্পাদক তারেক, নারীবিষয়ক সম্পাদক লুৎফুন নাহার লুনা, কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক গৌতম কুমার, ক্রীড়া সম্পাদক সামিউল ইসলাম, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক দীপস রায়, আপ্যায়ন সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, আইনবিষয়ক সম্পাদক আবির, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পবিত্র রায়। কার্যকরী সদস্য ছাদেকুল ইসলাম, হাবিবুল বাশার সুমন, সুজন ইসলাম, তানভির হোসেন, আব্দুল্লাহ ও সুজন রানা।

 

রংপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শুভসংঘের নতুন কমিটির বন্ধরা

রংপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট

অনন্য আক্তার শিলা

সব ধরনের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকারে রংপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে গঠিত হয়েছে শুভসংঘের নতুন কমিটি। কালের কণ্ঠ’র রংপুর ব্যুরোপ্রধান স্বপন চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সহযোগিতায় সম্প্রতি নতুন এই কমিটি গঠন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার রাব্বি, সহসভাপতি আলী সাকিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, শুভসংঘ হারাগাছ শাখার সভাপতি মাহফুজুল আমিন খান জিম এবং কার্যকরী সদস্য রোকনুজ্জামান রোকন।

নবগঠিত রংপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শুভসংঘের নেতারা হলেন—সভাপতি আরিফ হুসাইন, সহসভাপতি ইউসুফ মিয়া ও শ্রাবণী তরফদার, সাধারণ সম্পাদক ফারহান তানভির সৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান আশিক ও অনন্যা আক্তার শিলা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত রেইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল হক মিরাজ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক আশিকুর জামান লিমন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ রাশিদুল ইসলাম রনি, ক্রীড়া সম্পাদক আহমেদ তানভীর, নারীবিষয়ক সম্পাদক স্নিগ্ধা রানী রায়, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হাকিম দিপু, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক মাসুদ রানা, রক্তদান বিষয়ক সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ফারহান সাদিক প্রামাণিক এবং বাঁধন চক্রবর্তী। কমিটি গঠন শেষে শুভ কাজে সবার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে রংপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শুভসংঘের বন্ধুরা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করে বলেন, চাই না সংঘাত, চাই না রক্তপাত, চাই শুধু একটি সুন্দর সমাজ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
হার না মানা সুস্মিতা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

বাবা সমর চক্রবর্তী ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর আয়েই চলত সংসার ও তিন সন্তানের লেখাপড়া। আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যুতে স্ত্রী লক্ষ্মীরাণী চক্রবর্তী দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন। দোকান চালানোর মতো আর কেউ না থাকায় বন্ধ হয়ে যায়।

সেই দোকান ভাড়া দিয়ে সামান্য যে টাকা পাওয়া যেত, তা দিয়ে কোনো রকমে চলার চেষ্টা করে পরিবারটি। অনটনের কারণে একসময় পড়ালেখা ছাড়িয়ে বড় মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি মেজো মেয়ে সুস্মিতা চক্রবর্তী। বাবা যখন মারা যান, তখন তিনি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামে। শত অভাব-অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যান তিনি। দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় সুস্মিতা প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু আয় করার চেষ্টা শুরু করেন। সেটি আজও চালিয়ে যাচ্ছেন।
এখন স্থানীয় একটি কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সুস্মিতা। নিজের লেখাপড়া আর প্রাইভেট পড়ানোর মধ্যেই থেমে থাকেননি তিনি। কয়েক বছর থেকে বিভিন্ন পণ্য নিজে বানিয়ে অনলাইনে বিক্রির চেষ্টা করছেন। এসব পণ্যের অনেকগুলো আবার সেলাইসংক্রান্ত। কাজের পাশাপাশি ছোট ভাইকেও লেখাপড়া করাচ্ছেন।
ভাইটি এবার এইচএসসি দিচ্ছে। সুস্মিতার ভাষ্য, বাবার মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। আমার প্রবল চেষ্টা ও আগ্রহ ছিল। তাই আমি কখনো হতাশ হয়ে পড়িনি। কষ্ট করে হলেও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছি, ছোট ভাইটিকে পড়াচ্ছি, মায়ের সংসারেও সাহায্য করার চেষ্টা করছি। একটি সেলাই মেশিনের অভাব দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছিলেন তিনি। সুস্মিতা বলেন, আমি অনলাইনে বিক্রির জন্য যেসব কাজ করি, সেগুলো অনেকটাই সেলাই রিলেটেড। এই মেশিনের মাধ্যমে আমি এখন থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটি দিয়ে আমি আমার আয় আরো অনেক বাড়াতে পারব, যা দিয়ে ছোট ভাইসহ নিজের লেখাপড়া চলবে। পরিবারকেও এগিয়ে নিতে পারব। বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

 

মন্তব্য

রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
বসুন্ধরা শুভসংঘ ডেস্ক
শেয়ার
রাশিদার সন্তানদের লেখাপড়াও চলবে নিশ্চিন্তে

স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। না পারছি তাদের ঠিকভাবে খাওয়াতে, না পারছি লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে। এই বিষয়ে কাউকে কিছু না পারছি বলতে, পারছি না সহ্য করতে। তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন পেয়ে এভাবেই অনুভূতি জানাচ্ছিলেন রাশিদা বেগম।

তাঁর দুচোখ দিয়ে ততক্ষণে গড়িয়ে পড়ছে পানি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত এন্তাজ আলীর স্ত্রী রাশিদা। তাঁর ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়ে পড়েন অনার্সে।
স্বামী বেঁচে থাকতেই বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। কালীগঞ্জ বাজারে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান করতেন তাঁর স্বামী। দুই বছর আগে তিনি মারা গেলে পরিবারটি বিপাকে পড়ে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয়।
বাধ্য হয়ে ছোট ছেলেটি পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকানের হাল ধরে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালায়। ছেলের এসএসসি পরীক্ষার কারণে প্রায় পাঁচ মাস দোকান বন্ধ রেখেছিলেন রাশিদা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। একটি বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছিলেন।
তাঁকে সেই পথ দেখাল বসুন্ধরা শুভসংঘ। বিনামূল্যে তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে তিনি পেয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপহার। এটি শুধুই একটি মেশিন নয়, তাঁর কাছে যেন বাঁচার অবলম্বন। বিধবা এই নারী বলেন, সেলাইয়ের কাজ জানতাম না, ছিল না মেশিনও। এখন দুটিই দিল বসুন্ধরা। এই মেশিন চালিয়ে আয় করার সব চেষ্টা করব, যাতে সন্তানদের খাওয়াতে পারি, লেখাপড়া করাতে পারি। যারা আমাকে এই পথ দেখিয়েছে, তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করব।

মন্তব্য

দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

    ফারহান উদ্দিন আহমেদ পাশা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিএনপি কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরা গ্রুপের অনন্য উদ্যোগ

গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশে দাঁড়ানোর এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যে চিন্তা থেকে বাংলাদেশের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জকে বেছে নিয়েছে, তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পিছিয়ে পড়া এই উপজেলায় অসচ্ছল মানুষ যেমন আছে, তেমনি নদীভাঙন-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যাও কম নয়। এসব পরিবারের অনেক ছেলেমেয়ে অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না, নানাভাবে সমাজে লাঞ্ছিত হচ্ছে।

সেই দিক চিন্তা করে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ তাদের সামাজিক সংগঠন শুভসংঘের মাধ্যমে এখানকার যে উপকারভোগীদের বাছাই করেছে, এরপর তিন মাস ধরে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছেএটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। সমাজের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল এসব নারী এখন থেকে বাড়িতে বেকার সময় না কাটিয়ে রোজগার করে দুবেলা ঠিকভাবে খেতে পারবেন। উন্নতি করতে পারবেন সংসারের। লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে পারবেন সন্তানদের।
ফলে এই পরিবারগুলোর এগিয়ে যাওয়ার সুফল পাবে আমাদের সমাজ, আমাদের দেশ। একসময় স্বাবলম্বী এসব নারীকে দেখে পিছিয়ে পড়া অন্য নারীরাও আশাবাদী হবেন, সন্ধান পাবেন নতুন পথের। সেলাই মেশিন হাতে পাওয়া এই নারীদের হাত ধরে একদিন আরো অনেকে স্বাবলম্বী হবেন। সচ্ছলতা ফিরবে তাঁদের পরিবারে।
মেশিনপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী যেমন নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজেই এখন থেকে জোগাতে পারবেন, তেমনি কোনো নারী হয়তো সংসারের নানা কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে আয়ের মাধ্যমে স্বামীকে সাহায্য করতে পারবেন। স্থায়ীভাবে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে বসুন্ধরার এটি একটি অনন্য উদ্যোগ।

 

 

মন্তব্য

এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

    মাওলানা রুহুল আমিন, আমির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
শেয়ার
এই নারীরা একদিন সমাজের মডেল হবেন

আমাদের দেশের শিল্পপতিরা প্রতিদিন নাশতা খেতে বা সামান্য কাজে যত টাকা ব্যয় করেন, তা দিয়ে যদি সাধারণ মানুষের ভালো করার কথা চিন্তা করেন, তাহলে সমাজের জন্য তাঁরা অনেক কিছু করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রান্তিক মানুষের জন্য কাজ করেন। তাঁদেরই একজন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। বসুন্ধরা গ্রুপ বা বসুন্ধরা শুভসংঘ ইচ্ছা করলে অসচ্ছল নারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন বিতরণ না করে এই টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারত।

কিন্তু তারা সেটি না করে প্রান্তিক-দরিদ্র নারীদের কথা চিন্তা করে এই মহতী আয়োজন করেছেন। এ জন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। ইসলামে নারীদের খাটো করে দেখা হয়নি। সমাজেও অর্ধেক নারী ও অর্ধেক পুরুষ।
ফলে তাঁদের বাদ দিয়ে সমাজের উন্নয়ন আশা করা যায় না। নারীদের বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়নই আশা করা যায় না। আজকে যাঁরা মেশিন পেলেন, তাঁরা সংসারের কাজ শেষে যদি সেলাইয়ের কাজ করেন, তবে তাঁদের সংসারে অনেক উন্নতি হবে। আপনারা একদিন মডেল হবেন, আপনাদের দেখে সমাজের আর দশজন মা-বোন বেঁচে থাকার পথ পাবেন।
অসচ্ছল নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সে জন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। তারা দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের উন্নতির জন্য যে কাজগুলো করে যাচ্ছে, সেটি অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। আশা করি, বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশজুড়ে নানা সামাজিক কাজ অব্যাহত রাখবে।

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ