<p>বলিউডে নায়িকাপ্রধান সিনেমার চল শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানাওয়াত, বিদ্যা বালান আর আনুশকা শর্মার পর সেই দলে নাম লেখালেন সোনাক্ষী সিনহাও। এ আর মুরুগাদসের ‘আকিরা’ মূলত ২০১১ সালে সান্থা কুমারের তামিল সিনেমা ‘মৌনা গুরু’র রিমেক। দক্ষিণে প্রশংসা আর ব্যবসা—দুই-ই পেয়েছিল সিনেমাটি। এটি আবার রিমেক হয়েছে ভারতের আরো দুটি ভাষায়। ২০১২ সালে কন্নড় ভাষায় ‘গুরু’ এবং ২০১৫ সালে ‘শানকারা’ নামে তেলেগুতে।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2016/Feature -2016/September/01-09-2016/kalerkantho-01-09-16-SF-01.jpg" style="float:left; height:400px; margin:6px; width:261px" />চার বছরে তিন রিমেক—বোঝাই যাচ্ছে গল্পটা মানুষের বেশ পছন্দ। আর ‘গজনি’ খ্যাত মুরুগাদস ব্যবসাসফল ছবি বানাতে ভালোই পারঙ্গম। ২০১৪ সালে ‘হলিডে’র পর আবারও ফিরছেন সোনাক্ষীর সঙ্গে। নায়িকার জন্য এই ছবি বিশেষ কিছু কারণে, এটি দিয়েই প্রায় এক বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। অ্যাকশনে ভরপুর এই ছবির জন্য অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত প্রস্তুতি ছাড়া মারপিটের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য কয়েক সপ্তাহের প্রশিক্ষণও নিতে হয়েছে। ছবির অনেকগুলো স্টান্ট নিজেই করেছেন। করতে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আহতও হয়েছিলেন বেশ কয়েকবার।</p> <p>নারীকেন্দ্রিক, অ্যাকশন, প্রতিবাদী নারী ইত্যাদি ছাড়া ‘আকিরা’ নিয়ে তেমন কোনো তথ্য আগে জানা যায়নি। অনেকবার প্রশ্ন করা হলেও কৌশলে এড়িয়ে গেছেন পরিচালক। তবে দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে ছবির গল্প সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন সোনাক্ষী, ‘এসিড সন্ত্রাস ভারতে ভয়াবহ আকারে বাড়ছে। কোনো কিছু হলেই এসিড ছোড়া হচ্ছে। ছবিতে এসিড হামলার শিকার নারীদের দুর্বিষহ জীবন তুলে ধরা হয়েছে।’</p> <p>এ বক্তব্যের পরই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কারণ মূল ছবি ‘মৌনা গুরু’তে এমন কোনো গল্পই নেই। বোঝাই যাচ্ছে, পরিচালক গল্পকে ভেঙেচুড়ে নিজের মতো করে নিয়েছেন। ছবির প্রচারণায় গিয়ে গল্প সম্পর্কেও বলেছেন সোনাক্ষী, ‘ছবিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার [আকিরা] বাবা, যিনি মেয়েকে নাচের স্কুল বা গানের স্কুলে না দিয়ে পাঠালেন কারাতে শিখতে। মেয়েকে বললেন—নিজেকে রক্ষা করতে শেখো।’</p> <p>আকিরার বাবার চরিত্রে প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল শত্রুঘ্ন সিনহার। পরিচালক ভেবেছিলেন, বাস্তবের মতোই পর্দায়ও বাবা-মেয়ের রসায়নটা জমবে দারুণ। কিন্তু শিডিউল না মেলাতে সিনেমাটি করা হয়নি বর্তমানে রাজনীতিতে ব্যস্ত শত্রুঘ্নর।</p> <p>তবে ভাগ্যের দরজা খুলে গেছে বিখ্যাত হার্ট সার্জন ডা. মুকেশ হারিয়াওয়ালার। নিউ ইয়র্কের ফিল্ম একাডেমি থেকে অভিনয়ের কোর্স করেছিলেন মুকেশ। সেটা কাজে লাগানোর সুযোগ পেলেন এবার। তবে ছবির বড় চমক অনুরাগ কাশ্যপ। প্রশংসিত এই পরিচালক এবার ক্যামেরার সামনে। অতিথি নয়, ছবির খুবই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন তিনি। ছবিতে অনুরাগের অভিনয় দেখে মুগ্ধ সোনাক্ষী তাঁকে নিয়মিত অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।</p>