গানের রেওয়াজ শোনা যাচ্ছে...
এখন ছায়ানটে আছি। ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছি। একজন বাচ্চা গাইছে ‘মাঝে মাঝে তব...’। এদের সঙ্গে কাটানো সময়টা খুব উপভোগ করি।
গানের রেওয়াজ শোনা যাচ্ছে...
এখন ছায়ানটে আছি। ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছি। একজন বাচ্চা গাইছে ‘মাঝে মাঝে তব...’। এদের সঙ্গে কাটানো সময়টা খুব উপভোগ করি।
নতুন গানে আপনাকে খুব কম পাওয়া যাচ্ছে। কেন?
একেবারে যে কম তা কিন্তু নয়।
এই প্রজন্মের অনেকেই লালনগীতি গাইছেন। তাঁদের কণ্ঠে গান শুনতে কেমন লাগে?
তাদের কণ্ঠ নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। শুধু তারা যদি একটু গানের বাণী ও সুরের দিকে খেয়াল রাখত! কণ্ঠ তো ঈশ্বর প্রদত্ত। সেই কণ্ঠে যে গানটি তুলছে সেটার সঠিক সুর ও বাণী তো জানতে হবে। এখন তো মডার্ন ও ফিউশনের নামে যা তা করা হচ্ছে। সাঁইজির প্রতিটি গান এক একটা দর্শন। প্রতিটি গানের সুরে অন্য রকম একটা মাদকতা থাকে। সেটা তো পরিবর্তন করা উচিত নয়। আমি অনেক ফিউশন করেছি। তবে সংগীত পরিচালককে আগে বলে নিয়েছি, যে ইনস্ট্রুমেন্ট বাজাবেন আমার আপত্তি নেই। শুধু গানের সুর আর বাণী পরিবর্তন করতে পারবেন না। এখন ফিউশন সময়ের দাবি, আমিও মেনে নিয়েছি। তাই বলে যার যার অবস্থান থেকে সাঁইজির বাণী ও সুর তো ঠিক রাখতে হবে।
‘মনপুরা’ ছবিতে প্লেব্যাক করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এরপর আর চলচ্চিত্রে সেভাবে আপনাকে পাওয়া গেল না কেন?
মাঝখানে ‘পদ্মপুরাণ’-এর জন্যও তো জাতীয় পুরস্কার পেলাম। কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ ছবিতেও গেয়েছি। আর আমি যে ধরনের গান করি সেই ধরনের গান ছবিতে যুক্ত করার মতো গল্প কি হচ্ছে? আমি মাটির গান করি, শিকড়ের গান করি। এখন তো এই ধরনের গল্পে ছবিই নির্মাণ হচ্ছে না। শুধু শুধু অভিযোগ করে লাভ কী? আমার বিশ্বাস, যদি প্রয়োজন পড়ে নির্মাতারা অবশ্যই ডাকবেন।
এই সময়ের গানবাজনা নিয়ে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট?
কী আর বলব ভাই! গানবাজনা অনেক সাধনার। আমার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। বাবা নিজেই লালন গবেষক। ছোটবেলায় দেখেছি, প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে আসর বসত। বাউল, সাধু-সন্ন্যাসীরা আসতেন দূর-দূরান্ত থেকে। রাতের পর রাত দিনের পর দিন নির্ঘুম কাটত। একের পর এক গান শুনতাম, শিখতাম। আর এখন তো গানবাজনা সহজ হয়ে গেছে। গুরু লাগে না। হাতে একটা স্মার্টফোন আর ডেটা থাকলেই হলো। একবার শুনে ক্যারোকেতে গেয়ে ফেলে। দেখেন, এখনকার গানে আগের সেই অনুভূতি আছে? প্রাণ আছে?
এর মধ্যে শো করতে দেশের বাইরে যাবেন?
গান করার মতো পরিবেশ কি এই বিশ্বে এখন আছে? দেশে দেশে যুদ্ধ লেগে গেছে। করোনা আবার উঁকি দিচ্ছে। মানুষ আছে প্রাণের সংকট নিয়ে। গান কে শুনবে বলেন? জানি না এই অস্থিরতার শেষ কোথায়। কোথায় গিয়ে থামবে যুদ্ধের দামামা। গান আর যুদ্ধ তো একসঙ্গে চলতে পারে না।
সম্পর্কিত খবর
■ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আলতাফ পারভেজ।
■ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দল বিজেপির একজন নেতা জয়া আহসানকে কটুক্তি করেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে জয়া কেন মুখ খুলছেন না?
■ দীপিকা পাড়ুকোনের সমর্থনে মন্তব্য করলেন বিদ্যা বালান। বাস্তব জীবনে মা হওয়া অভিনেত্রীদের জন্য আট ঘণ্টার শিফটে কাজের দাবি করেছিলেন দীপিকা।
■ বিশেষ সেলিব্রিটি টক শো আনছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও। যেটার সঞ্চালনা করবেন যৌথভাবে কাজল ও টুইঙ্কেল খান্না।
১৯৩০-এর দশকে আফ্রিকা থেকে বহু শিল্পকর্ম নিয়ে গেছে ইউরোপিয়ানরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আফ্রিকান দেশগুলো তাদের হারানো শিল্প, জৌলুস ফেরানোর চেষ্টা করছে। ইউনেসকোর সমর্থনের পরও খুব কম দেশই সাড়া দিচ্ছে। এ নিয়ে তথ্যচিত্র সিরিজ ‘রেস্টিটিউশন : আফ্রিকাস স্টোলেন আর্ট—রিটার্ন’ দেখানো হবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে, আল জাজিরায়।
সংগীত পরিচালক ইমন সাহার সুর ও সংগীতে কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা ও ইমরান মাহমুদুলের বেশ কয়েকটি শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে। ‘ওহে শ্যাম’, ‘প্রেমের বাক্স’র মতো গানগুলো তিন-চার কোটি করে ভিউ হয়েছে ইউটিউবে। ফের এই ত্রয়ী একসঙ্গে হলেন। ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’ নামের ছবিতে ‘একটা গল্প’ শিরোনামের গানটি ব্যবহৃত হবে।
কণা বলেন, ‘ইমন দাদা মানেই ভার্সেটাইল। সুর ও সংগীতে বরাবরই অভিনবত্ব থাকে।
সোমবার অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে এসেছে ক্রাইম-থ্রিলার সিরিজ ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’। আমেরিকার ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা নিয়ে সিরিজের গল্প। বহুল আলোচিত-সমালোচিত আটটি মামলার রায় এবং এর প্রভাব বর্তমান সময়ের আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে এতে। অভিনয়ে আছেন জুডি শেন্ডলিন, গ্যারন গ্রিসবি, রবার্ট ক্যাট্রিনি প্রমুখ।