ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫
১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ মহররম ১৪৪৭
স্পেনের পর্দায়

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’

রংবেরং ডেস্ক
রংবেরং ডেস্ক
শেয়ার
বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’
বেগম রোকেয়া, [১৮৮০—১৯৩২]

আধিপত্যবাদী সমাজে মেয়েরা মাথা তুলে দাঁড়াবে নিজের অধিকারে, সুলতানার স্বপ্ন গ্রন্থে এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। সেই স্বপ্নকে পর্দায় তুলে এনেছেন স্প্যানিশ নির্মাতা ইসাবেল হারগুয়েরা। ৮৬ মিনিট দৈর্ঘ্যের এনিমেশন চলচ্চিত্রটির নাম এল সুয়েনো দে লা সুলতানা, ইংরেজিতে সুলতানাজ ড্রিম। ২৫ সেপ্টেম্বর স্পেনের ৭১তম সান সেবাস্তিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভাল-এ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়।

ভ্যারাইটি, স্ক্রিন ডেইলি, সিনে ইউরোপাসহ বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্রবিষয়ক সংবাদমাধ্যমে ছবিটির রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে। সবার লেখাতেই ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা। ছবিটির প্রিমিয়ারে অন্য কলাকুশলীদের সঙ্গে আমি শুনেছি সেদিনখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের গায়িকা মৌসুমী ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন। ছবিতে তাঁর লেখা একটি গানও আছে।
তিনিও তাঁর ভালো লাগা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন।

 

সুলতানার স্বপ্নর সঙ্গে পরিচয়

ভ্যারাইটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা হারগুয়েরা জানিয়েছেন কিভাবে তিনি সুলতানার স্বপ্নর খোঁজ পেলেন। ২০১২ সালে ভারতের দিল্লি গিয়েছিলেন তিনি। অনেক বৃষ্টির এক দিনে আটকা পড়েছিলেন শহরের একটি আর্ট গ্যালারিতে।

সেখানেই খুঁজে পান সুলতানাস ড্রিম বইটি।

 

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’এখনো সমসাময়িক এই বই

অবিভক্ত ভারতে সুলতানাজ ড্রিম প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে, মাদ্রাজের দ্য ইন্ডিয়ান লেডিস ম্যাগাজিনে। ১৯০৮ সালে উপন্যাসিকাটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়। বাংলায় প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে মতিচূর দ্বিতীয় খণ্ডে সুলতানার স্বপ্ন নামে। গল্পটি শুধু নারীশিক্ষার আন্দোলনের পরিপ্রক্ষিতেই লেখা হয়নি।

যে যুগে মেয়েরা মাতৃভাষা বাংলা শিক্ষাই পেত না, সে যুগেই চোস্ত ইংরেজিতে রচিত বইটিতে ফুটে উঠেছে যুদ্ধ নয়, যুক্তি-বিদ্যা-বুদ্ধিই নারীস্থানের প্রেরণা। প্রায় ১২০ বছর আগে লেখা এই উপন্যাসিকায় উঠে এসেছে সৌরশক্তির ব্যবহার, আরবান-ফার্মিং, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো এ যুগের অতি গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়। ইসাবেল বলেন, এত বছর আগে লেখা বই, যেখানে নারীদের স্বপ্ন দেখানো হয়েছে অন্য এক পৃথিবীরযেখানে নারীরা নিরাপদ বোধ করতে পারে। আপনি ধর্ম বা নৈতিকযেদিক থেকেই দেখেন না কেন, বইটির মূল উপজীব্য সমাজে নারীরা কিভাবে নিরাপদ থাকতে পারেন। বইটি পড়ে আমার বিস্ময়ের শেষ ছিল না। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়ার মতো। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, সিনেমা বানাব। কিছুদিন পর সিদ্ধান্ত নিই ফিচার ছবি করব এবং সেটি হবে এনিমেশন। এনিমেটেড ছবি করতে দক্ষ লোকবলের প্রয়োজন হয়, অনেক অর্থ লাগে। সব জোগাড় করে তবেই নির্মাণে নেমেছি।

 

নির্মাণ ও মুক্তি

এই ছবির কাজে কয়েকবার ভারতে এসেছেন ইসাবেল। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নারীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছেন। তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছেন, ১০০ বছরের বেশি সময় আগের লেখা এ বইয়ের বিষয়বস্তু এখনকার সময়ে কতটা প্রাসঙ্গিক। নির্মাতা বলেন, জািজ্ঞসা করেছিলাম পুরুষদের মতো তোমরা কী চাও? তাঁদের প্রায় সবারই উত্তর ছিল, সূর্যাস্তের পরেও তারা বাইরে যেতে চায় এবং নিরাপদ বোধ করতে চায়। ১০০ বছর আগে এমন চাওয়াই ছিল বেগম রোকেয়ার।

ছবিটি নির্মাণের আগে ইসাবেল চষে বেড়িয়েছেন ভারতের প্রত্যন্ত এলাকা। যেহেতু এনিমেশন ছবি, তাই সারা পৃথিবীর নামি চিত্রশিল্পীদের পরামর্শ নিয়েছেন। প্রায় আট বছরের গবেষণা শেষে ২০২০ সালে সুলতানাজ ড্রিম-এর কাজ শুরু করেন ইসাবেল। তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন উৎসবে দেখানোর পর ১৭ নভেম্বর স্পেনে মুক্তি দেবেন ছবিটি। ছবিটি প্রযোজনা করেছে স্পেন ও জার্মানির পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে পাঁচটি ভাষাবাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ ও বাস্ক। ইসাবেল হারগুয়েরার সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন তাঁর জীবনসঙ্গী জিয়ানমার্কো সেরা। সংগীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিকের লেখা গানটির সংগীতায়োজন করেছেন তাজদির জুনায়েদ, গেয়েছেন দীপান্বিতা আচার্য।

 

ইসাবেলের পরিচিতি

ইসাবেল হারগুয়েরার জন্ম ও বেড়ে ওঠা স্পেনে। এটিই তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। এনিমেটর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছেন ৬২ বছর বয়সী ইসাবেল। এর আগে প্রযোজনা করেছেন এনিমেটেড ছবি স্পেন লাভ ইউ [১৯৮৮], লা গালিনা সিয়েগা [২০০৫] ও আমার [২০১০]। জার্মানি থেকে অনার্স ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আঁকাআঁকিতে মাস্টার্স করেছেন। এরপর চীন ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ভারতের আহমেদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন অ্যান্ড এনিমেশন বিষয় পড়ানোর সময়ই সুলতানার স্বপ্নর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে।

বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’

ইসাবেল হারগুয়েরার এনিমেটেড ছবি ‘সুলতানাজ ড্রিম’ ছবির একটি দৃশ্য

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আরো খবর

শেয়ার
আরো খবর

ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সূর্য দীঘল বাড়িখ্যাত বরেণ্য চলচ্চিত্রকার মসিহউদ্দিন শাকের। শনিবার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। 

গানচিত্রের মডেল হয়েছেন শবনম বুবলী। তানিম রহমান অংশুর নির্মাণে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে গানচিত্রটির শুটিং।

কলকাতার আকাশ সেনের সুরে গানটি কে গেয়েছেন, তা জানাননি সংশ্লিষ্টরা।

ক্যানসারে আক্রান্ত মেকানিক্স ব্যান্ডের সাবেক গিটারিস্ট ইমরান আহমেদ। ব্যান্ডটি থেকে অনেক আগেই তিনি সরে এসেছেন। তবে সে ব্যান্ডটি এগিয়ে এসেছে তাঁর চিকিৎসা সহায়তায়।

২৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে কনসার্ট ফর ইমরান। এতে মেকানিক্সের সঙ্গে পারফরম করবে সোনার বাংলা সার্কাস, হাইওয়ে, পাওয়ারসার্জসহ আটটি ব্যান্ড।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এক মলাটে জুলাইয়ের ৬৩ গান

শেয়ার
এক মলাটে জুলাইয়ের ৬৩ গান

২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যেসব গান প্রেরণা জুগিয়েছিল, উদ্বুদ্ধ করেছিল, সেই গানগুলো এবার পাওয়া যাবে এক মলাটে। আলোকচিত্রী ও অ্যাকটিভিস্ট মনজুর হোসেনের উদ্যোগে জুলাইয়ের গান শিরোনামে বইটি শিগগির প্রকাশ করা হবে। মনজুর হোসেন বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে সময়ের দলিল হিসেবে ধরে রাখতে তিনি বইটি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ঢাকার রাস্তায় কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নামে শিক্ষার্থীরা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে তারা। ঠিক সেই সময়ে কথা ক শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন বাংলাদেশি র‌্যাপার মোহাম্মদ সেজান। পাশাপাশি র‌্যাপার হান্নান করেন আওয়াজ উডা বাংলাদেশ। দ্রুত তরুণদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে গানগুলো।
নতুন প্রতিবাদের প্রতীকে পরিণত হয়। এর বাইরে আরো বেশ কয়েকটি গান তখন মানুষকে সাহস জোগায়। ১৫ জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত যেসব গান প্রকাশিত হয়েছে, সেখান থেকে ৬৩টি গানের সংকলন এই জুলাইয়ের গান

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
অন্তর্জাল

দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো

শেয়ার
দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো
‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ অনুষ্ঠানের দৃশ্য

দুই সিজনের সাফল্যের পর নেটফ্লিক্সে চলছে কমেডি অনুষ্ঠান দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শোর তৃতীয় সিজন। শনিবার এসেছে নতুন পর্ব। এতে অতিথি হয়েছেন ওটিটির চার তারকা অভিনেতাজয়দীপ আহলাওয়াত, বিজয় বর্মা, জিতেন্দ্র কুমার ও প্রতীক গান্ধী। তাঁদের সঙ্গে মজাদার আড্ডায় কপিল শর্মার সঙ্গে রয়েছেন সুনীল গ্রোভার, কিকু শারদা, ক্রুষ্ণা অভিষেক প্রমুখ।

এ ছাড়া বিশেষ চমক হিসেবে এসেছেন কে-পপ তারকা জ্যাকসন ওয়াং।

মন্তব্য
চলচ্চিত্র

কুলি

শেয়ার
কুলি
‘কুলি’ ছবিতে ওমর সানী

অভিনয়ে ওমর সানী, পপি, হুমায়ুন ফরীদি। পরিচালনা মনতাজুর রহমান আকবর। সকাল ১০টা ১০ মিনিট, আরটিভি।

গল্পসূত্র : কেরামত আলী ব্যাপারী খুবই লোভী ও অহংকারী মানুষ।

মেয়ে পপির বিয়ের জন্য ঘটক যত পাত্রের ছবি দেখায় কোনোটাই পছন্দ হয় না তার। কারো বয়স বেশি, কারো আয় কম। ঘটক রেগে গিয়ে বলে বসে, এত বাছবিছার করলে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে মেয়ের বিয়ে হবে কোনো কুলির সঙ্গে। ঘটনা তাই ঘটে।
রেল স্টেশনের কুলি রাজু প্রেমে পড়ে পপির। বড় ব্যবসায়ী সেজে পপিকে বিয়ে করে সে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ