‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বলিউডে পা রাখেন দিয়া মির্জা। প্রথম ছবি ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’তেই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা থেকে আসার পরও এই অভিনেত্রীকে চেহারা ‘ঠিক’ করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
‘ভিড়’ ছবির প্রচারণায় নেমে অভিনেত্রী বলেন, বলিউডে এখনো নাকি অভিনেত্রীদের পণ্য হিসেবে দেখা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিয়া বলেন, “প্রায়ই শুনতাম আমার নাকি মুখ ‘ঠিক’ করতে হবে। এটা একজন মানুষ হিসেবে অপমানজনক। এ রকমটা আর কত দিন মেনে নেওয়া যায়। এই সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ায় অভিনয় থেকে নিজেকে কয়েক বছরের জন্য সরিয়েও নিয়েছিলাম।”
প্রত্যাবর্তনের পরে তাই ছবি বাছাই নিয়ে সচেতন তিনি। দিয়ার মতে, ‘সুন্দরী হয়ে আমি এমন অনেক ছবি করেছি, যা দর্শকের প্রশংসা পায়নি। কিন্তু এখন সময় কিছুটা পাল্টেছে। আমি এখন এমন ছবির অংশ হতে চাই, যা দর্শককে গুরুত্বপূর্ণ গল্প বলবে।
তার জন্য সুন্দরী হয়ে ওঠা জরুরি নয়। আমি এর আগে যে রকম ছবিতে কাজ করেছি, তাতে নিজেকে শিল্পী কম, পণ্য বেশি বলে মনে হয়েছে। এখনো অনেক সময় ছবিতে অভিনেত্রীদের পণ্য হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। সেই কারণে অনেকেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারেন না।’
‘থাপ্পড়’-এর পর অনুভব সিনহার ‘ভিড়’-এও আছেন দিয়া মির্জা।
সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবনায় ছবি বানাতে সিদ্ধহস্ত অনুভব। অনুভবের সঙ্গে এটি দিয়ার চতুর্থ ছবি।