সৌদি আরবের ছবি ‘শামস আল মারিফ’ (২০২০)-এর একটি দৃশ্য
১৯৮৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ ছিল সৌদি আরবে। ২০১৮ সালে চলচ্চিত্রের ওপর ৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান। অত্যাধুনিক সিনেমা হল চালু করে দেশটির সরকার। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি চলচ্চিত্রশিল্পে নতুন পথে হাঁটতে শুরু করে।
বিজ্ঞাপন
সৌদি ফিল্ম কমিশনের প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল ইয়াফ বলেন, ‘সৌদি আরবের সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ইতিহাস ও এখানকার মানুষের গল্প পর্দায় তুলে আনলে সেসব সিনেমা নির্মাণ ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ফেরত পাবেন প্রযোজকরা। ’
কমিশন বলছে, গত ১৮ মাসে তিনটি হলিউড ছবি, আটটি স্থানীয় সংস্কৃতির ছবি ও বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে সেখানে। তরুণ পরিচালক ও প্রযোজকদের নিয়ে সৌদি আরবের চলচ্চিত্রশিল্প মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরে এটি লাভজনক ব্যবসার সুযোগ তৈরি করছে। চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদনের জন্য একটি ডেডিকেটেড অনলাইন প্লাটফরম এরই মধ্যে চালু করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল ইয়াফ আরো বলেন, ‘সৌদি আরবের চলচ্চিত্রশিল্প দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে আমরা স্থানীয় কলাকুশলীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বিনিয়োগ করছি। এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে আমরা সব ধরনের চলচ্চিত্রকেই সমর্থন দেব। ’
গত বছর ডিসেম্বরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ‘রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভাল’। জর্ডান, সৌদি আরব, লেবানন, তিউনিশিয়া, মিসরসহ ৬৭ দেশের ৩০টিরও বেশি ভাষার ১৩৮টি পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয় উৎসবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবে ৩৫০টি সিনেমা হল ও আড়াই হাজার মুভি স্ক্রিন তৈরির লক্ষ্য স্থির করেছে দেশটির সরকার।
তথ্য সূত্র : সৌদি গেজেট