‘মাঝে মাঝে’ গানটি নিয়ে বলুন?
বছরখানেক আগে আমার আগের স্টুডিওতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলাম। স্যামুয়েল হকের কথায় সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। ভিডিও বানিয়েছেন এস আর রুমেল। জীবন চলার পথে আমাদের মাঝে মাঝে ভাবতে হয়, একটু জিরিয়ে নিতে হয়—এমন ভাবনায় গানটি সাজানো হয়েছে।
সুর-সংগীতায়োজন মিলিয়ে গানটি আমার খুব ভালো লেগেছে।
‘লকডাউন ঢাকা’ গানটিতে কোন কোন বিষয় তুলে ধরেছেন?
লকডাউনের সময় পুরো ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে যায়। রাস্তায় গাড়ি নেই, মানুষ নেই। ঢাকার এই চেহারাটা আমরা অনেক দিন দেখিনি।
মানুষের ঘরে থাকার কারণে প্রকৃতিগত কিছু পরিবর্তনও এসেছে। যা চোখে পড়ার মতো। সেই অনুভূতিগুলোই কাগজ-কলমে লিখেছি, সুর-সংগীতায়োজন করে গেয়েছি। পুরো কাজটি করেছি বাসা থেকে। যা সচরাচর স্টুডিওতে বসেই করা হয়। ভিডিও সম্পাদনাও নিজেই করছি। এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু ড্রোন শট সংগ্রহ করেছি।
প্রায় আড়াই মাস পর স্টুডিওতে গেছেন। নিশ্চয়ই এত দিন খুব মিস করেছেন!
১৭ মার্চ থেকে থেকে বাসায়।
প্রায় আড়াই মাস এভাবে স্টুডিও ছেড়ে থাকাটা আমার জন্য ছিল খুব কঠিন একটা কাজ। স্টুডিও হচ্ছে আমার নিঃশ্বাস নেওয়ার জায়গা, আনন্দ আর ভালো লাগার জায়গা। এত দীর্ঘ সময় স্টুডিওর বাইরে কখনো থাকিনি। বারবার মনে হচ্ছিল কী যেন নেই, কী যেন খুঁজছি।
একদিকে ভালোই হলো। স্ত্রী-কন্যাকে সময় দিতে পেরেছেন!
সেটা ঠিক। পরিবারকে সময় দিতে পেরেছি। মেয়ে ছোট থেকে বড় হচ্ছে। তার পরিবর্তনগুলো দেখতে পেরেছি। এটা একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। তবে একটা আক্ষেপও আছে। পিয়েতার জীবনের প্রথম উৎসব ছিল এবার। কিন্তু লকডাউনের কারণে তাকে একটা নতুন জামা কিনে দিতে পারিনি! তানিয়া তার পুরনো একটা জামা কেটে নিজের হাতে মেয়ের ঈদের জামা বানিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যদি কিছু বলতেন?
আমরা এখন ভয়ংকর একটা পরিস্থিতির মধ্যে আছি। সবাই এটা বুঝতে পারছে কি না জানি না। যেহেতু সব কিছু খুলে দেওয়া হয়েছে, এখন করোনা সংক্রমণের হার আরো বাড়বে। সুতরাং নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে। এর বাইরে আর কোনো রাস্তা নেই। সবাইকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।