<p> কী করেন, কেমন আছেন?</p> <p> আর কইয়েন না, ক্ষমতাআলায় ক্ষমতা দেখাইছে। ট্রাফিক পুলিশ চাকাটা পানচার কইরা দিছে। মেজাজটা খারাপ হয় না? এমনিতেই রাজনীতির গজবে পইড়া ভাড়াভুড়ি নাই। ইনকামপাতি হারাই গেছে, তার ওপর বেটায় ফুটা কইরা দিল। আমারও দোষ আছে, সব চোরের দল! পাঁচ ট্যাকা ঘুষ দিয়া দিলে আর এই বিপদে পড়তে হইত না।</p> <p> অবরোধের মধ্যে গাড়ি বের করেছেন, সমস্যা হয় না?</p> <p> বুকের মধ্যে ভয় লইয়া রাস্তায় চলি। আগে তো বাসে আগুন দিত, বোমাবাজি করত। এখন ধইরা ধইরা রিকশাভ্যানও জ্বালায়া দেয়। কেউ মানুষ না! ব্যাকটি অমানুষ হইয়া গেছে। নইলে কি অসহায় মানুষের জান লইয়া হেরা খেলতে পারত? কতগুলি বাসড্রাইভার, যাত্রী পুইড়া ছাই হইয়া গেছে। যারা দেশে এই সব অশান্তি শুরু করছে, তাগোও আল্লায় শান্তিতে রাখব না। হাজার হাজার মাইনয়ের গজব পড়ব হেগো ওপর।</p> <p> দেশের এই ভয়াবহ অবস্থা কিভাবে শিথিল করা যায়?</p> <p> এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে, এই দিনেরে লইয়া যাইব সেই দিনেরও কাছে। এই গানটা সবার মনে রাখন দরকার। শুনেন, আমাগো সরকারি দল আর বিরোধী দল সবাই টাহা আর ক্ষমতার পিছে। যে ভাবে সাধারণ মানুষরে জ্বালায় খাইতাছে, মনে করছেন মানুষ ছাইড়া দিব? লেবু বেশি চিপড়াইলে তিতা হইয়া যায়।</p> <p> কেন, জনগণ কী করবে?</p> <p> জনগণেরও করার আছে। ভোটের সময় তো ঠিকই হাতে-পায়ে ধরে। ভোট শেষ হেরাও লাপাত্তা। আর জনগণই বা কী করব? ভালো কোনো নেতা নাই যে হেরে ভোট দিব। যারা দাঁড়ায় অনেকেই চোর-বাটপার। হেয় জন্যে আমি গতবার ভোট দিইনাই কাউরে। আমার কথা হইল, ভালো নেতা না পাওয়া গেলে ভোট দেওয়ারই দরকার নাই।</p> <p> ছবি ও সাক্ষাৎকার : জুমারা মাহ্জাবীন</p>