<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কুলাউড়ায় এ বছরও আখের ভালো ফলন হয়েছে। ভারত থেকে আসা উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মনু নদীর বিস্তীর্ণ চরে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করে স্বাবলম্বী উপজেলার হাজীপুর, পৃথিমপাশা, শরীফপুর ও টিলাগাঁও ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক কৃষক। নদীর চরে সনাতন পদ্ধতিতে উৎপাদিত আখ থেকে রস, লালি ও গুড় তৈরি করে বিক্রি করছেন তাঁরা। কালের পরিক্রমায় মনু তীরের আখ চাষিরা উৎপাদন অব্যাহত রাখলেও সরকারের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, কৃষিঋণ, স্যার ও কীটনাশকসহ প্রযুক্তিগত সহায়তা পাচ্ছেন না। এতে চাষিরা আধুনিক আখ চাষের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">সরেজমিনে দেখা যায়, আখ চাষিরা সনাতন পদ্ধতিতে সারা দিন আখ কেটে বিকেলে মাড়াই করে রস উৎপাদন করে তা বড় পাত্রে জ্বাল দেন। জ্বাল দেওয়ার পর রস ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে রাখা হয় আগুনের চুলা থেকে। সেই রস টিনে রেখে ঠাণ্ডা করে গুড় তৈরি করা হয়। শীত মৌসুমে আখের গুড় তৈরি করতে আখ চাষিরা বেশ কর্মব্যস্ত সময় পার করেন বছরের জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসে। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন বিকেলে কুলাউড়ার আলীনগর, রাজাপুর, মাদানগর, কলিরকোনা, নিশ্চিন্তপুর এলাকায় উৎপাদিত খাঁটি দেশীয় আখের গুড়, রস ও লালি কিনতে আসেন অনেকে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">মনু নদী তীরের আখ চাষি আছকির মিয়া, আব্দুল গফুর, আব্দুস শহীদ, সাজেদ আলী, কামাল মিয়া প্রমুখ জানান, উৎপাদিত আখ থেকে সনাতন পদ্ধতিতে রস প্রক্রিয়াজাত করে লালি ও গুড় তৈরি করা হয়। গুড় প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। লালি প্রতি লিটার ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। আখের রস বের করে উচ্ছিষ্ট অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সনাতন পদ্ধতিতে বংশ পরম্পরায় আখ চাষ করলেও এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আখ চাষের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, সার ও কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছি। কৃষিঋণ ও সরকারি সহায়তা পেলে আরো বেশি পরিমাণ আখ চাষ করতে পারব।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">শরীফপুর ইউনিয়নের শুকনাভী গ্রামের চাষি আছকির মিয়া বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">এবার এক একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করেছি। প্রতিদিন ক্ষেত থেকে আখ কেটে রস বের করছি। এখন পর্যন্ত ৩০ শতক জমির আখ থেকে প্রায় দুই হাজার ৯১২ লিটার রস বিক্রি করেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কুলাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কুলাউড়ায় এ বছর ১৪ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের মাধ্যমে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কুলাউড়ায় আখ চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের চারা সরবরাহ ও আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সহায়তার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠাব।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p>