<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের ওয়ারিশ সনদ প্রদান করতে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে মুন্ডুতোষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার আলীর বিরুদ্ধে। পরে ইউএনও</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">র হস্তক্ষেপে শর্ত দিয়ে ওয়ারিশ সনদ দেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় সদ্যপ্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের স্ত্রী ও তিন কন্যাসহ ইউনিয়নের ৫ বীর মুক্তিযোদ্ধা গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের স্মৃতিসৌধ চত্বর এলাকায় মানববন্ধন করেন। আব্দুস সামাদ মুন্ডুতোষ ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ছিলেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">মানববন্ধনে আব্দুস সামাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ৩১ জানুয়ারি রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ মারা যান। তার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা ও চাকরির অবসরকালীন ভাতা উত্তোলনের জন্য পরিবারের সদস্যদের ওয়ারিশ সনদের প্রয়োজন হয়। তাই ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের সুপারিশ নিয়ে ওয়ারিশ সনদের জন্য চেয়ারম্যান আফসার আলীর কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু আফসার আলী আব্দুস সামাদের স্ত্রী ও তিন কন্যাসন্তানকে ওয়ারিশ সনদ দিতে রাজি হননি। পরে তারা উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলীকে বিষয়টি জানান।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">মানববন্ধনে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলী বলেন, চেয়ারম্যান আফসার আলীকে ফোন করে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের পরিবারকে ওয়ারিশ সনদ দিতে বললে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে আফসার আলী গত সোমবার ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন ওই পরিবারকে। তবে শর্ত দেন সেই সনদ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">এদিকে সনদে শর্ত দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না এই ওয়ারিশ সনদ। চাকরির অবসরজনিত ভাতা উত্তোলনেও বিপাকে পড়েছেন এই ওয়ারিশ সনদ নিয়ে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">আব্দুস সামাদের কন্যা স্কুলশিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">চার-পাঁচ দিন ভোগান্তির পরে চেয়ারম্যান ওয়ারিশ সনদ দিয়েছেন। তবে শর্ত দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজে সনদ ব্যবহার করতে পারছি না। এখন বাবার চাকরিকালীন অবসরভাতা তুলব কিভাবে?</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">মুন্ডুতোষ ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">মুসলিম ফারায়েজ আইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের তিন কন্যা ও এক স্ত্রী শুধু ওয়ারিশ নন; আব্দুস সামাদের সহোদর ভাইয়েরাও ওয়ারিশ। তাই সনদ দিতে চাইনি। পরে দিলেও শর্ত দিয়ে দিয়েছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.3pt">’</span></span></span> </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.3pt">ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, আমার হস্তক্ষেপে সনদ দিতে বাধ্য হন চেয়ারম্যান। পরে চেয়ারম্যানের মুসলিম ফারায়েজ আইনের ব্যাখ্যা ঠিক হলেও ওয়ারিশ সনদে কোনো শর্ত তিনি দিতে পারেন না। ওয়ারিশ সনদে শর্ত দেয়ায় অন্যান্য কাজে এই ওয়ারিশ সনদ ব্যবহারে বাধার সম্মুখীন হবে পরিবার।                                </span></span></span></span></p>