<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">বয়সের ভারে শরীরের চামড়া কুঁচকে গেছে। চোখেও দেখেন না ঠিকমতো। কথা যেটুকু বলেন তার বেশির ভাগই বোঝা দুষ্কর। এমনই এক বৃদ্ধা এসেছিলেন ভোট দিতে। বগুড়ার গাবতলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছেলের কোলে চেপে ভোট দিতে আসা ওই বৃদ্ধার নাম রহিমা বেওয়া। তাঁর ছেলে জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, মায়ের বয়স এখন ১০৭ বছর।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">গাবতলী পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম ওই ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর। তিনি জানান, বয়সের ভারে তাঁর মা চলাফেরা করতে পারেন না। চোখেও তেমন দেখেন না; কিন্তু কানে শুনতে পান। এবার ভোটের মাইকিং শোনার পর থেকেই জিদ ধরেছেন জীবনের শেষবারের মতো ভোট দিতে চান তিনি। ৩১ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র ছেলের কাছেই থাকেন রহিমা। চার মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েও মারা গেছেন কিছুদিন আগে। এ কারণে তিনিও মৃত্যুশঙ্কায় থাকেন। এই অবস্থায় ভোট দিতে চাওয়ায় বাধ্য হয়েই ছেলে ভোটের দিন সকালে মাকে একটি অটোরিকশায় করে নিয়ে যান কেন্দ্রের প্রধান ফটকে। এরপর ফটক থেকে কোলে করে কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে গেলে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই নারী আনসার সদস্য বৃদ্ধাকে ভোটকক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর পক্ষে ব্যালটে সিল মারেন ছেলে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">বাইরে বেরিয়ে জাহিদ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">ভোট দেওয়ার সময় বারবার মা বলেন, নৌকাত সিল দিস; কুনু দুই নম্বরি যেন করিসনে। আসলে আমাদের পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের সমর্থক। আমার বাবাও বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে ছিলেন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। এ কারণে মা-ও সেই ধারাই বহন করছেন। তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ করতেই ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">ভোট দেওয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বৃদ্ধা রহিমা বেওয়া ভাঙা ভাঙা কণ্ঠে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">কুনদিন যে ওই পারের ডাক পড়বি তা তো জানিনে। তাই শ্যাষবারের মনে করে ভোটডা দিবের আসিছি। ব্যাটাক কছি কুন্টি সিল দেওয়া লাগবি। হামরা তো দল করা ঘরের মানুষ। তাই দলের মানুষ ছাড়া ভোট দিবের পারিনে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.2pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p>