<p>লাখো মানুষের দুর্ভোগ এড়াতে প্রায় পাঁচ বছর আগে সংস্কারকাজের জন্য প্রথম দফায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাতে কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায়ও সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবুও কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন দায়িত্বহীনতায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর-নয়াবন্দর-কাঠালখাই-গোয়ালাবাজার সড়কে জনভোগান্তি চরমে উঠেছে। এর মধ্যে তিন মাস ধরে এই সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।</p> <p>উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন হয়ে পড়লে সংস্কারের জন্য ২০১৫ সালের মে মাসে চার কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজ পান ঠিকাদার সজীব রঞ্জন দাস। কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের ২৫ জুন। ২০১৬ সালের ১৬ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৩ জুন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ কাজ শেষে কাজ বন্ধ রাখা হয়।</p> <p>এরপর ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর ঠিকাদারকে কাজের চুক্তি বাতিলের</p> <p>চিঠি দেওয়া হয়। তখন ঠিকাদারের পক্ষ থেকে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টে রিট করা হয়। আদালত ১৭ নভেম্বর ২০১৬ থেকে ২০১৭</p> <p>সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেন। এরপর ৫৬ শতাংশ কাজ শেষ করে এক কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা</p> <p>তুলে নেন ঠিকাদার। এর মধ্যে আবার সময় বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টে</p> <p>রিট করলে আদালত ২০১৭ সালের ৩০ মে পর্যন্ত তিন মাস সময় বাড়িয়ে দেন।</p> <p>কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সড়কে কোনো কাজ না হওয়ায় আদালতের নির্দেশেই ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গত জানুয়ারিতে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ সময় আবারও ১১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়। বরাদ্দ দেওয়া হয় চার কোটি ৬৯ লাখ টাকা। কাজ পায় রাজধানী ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা কনস্ট্রাকশন। গত ৩০ নভেম্বর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও জুনে ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করে এক কোটি ২৯ লাখ টাকার বিল তুলে কাজ বন্ধ করে দেয়।</p> <p>জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, ঠিকাদারকে বারবার বলার পরও তারা কাজ করছে না। এ বিষয়ে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>