পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়া খুলে পালিয়েছেন অপহরণের পর হত্যা মামলার আসামি শরিফুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আসামির হাতকড়া পরানো ছিল। তিনি ধাতব কিছু দিয়ে হাতকড়া লুজ করে কৌশলে খুলে ফেলেন।
পরে পুলিশ কনস্টেবলের হাতে আঘাত করে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোতোয়ালি থানাকে জানানো হয়েছে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আদালতের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য চার আসামিকে নিয়ে আদালতের হাজতখানার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পালিয়ে যাওয়া আসামি শরিফুল ইসলাম সবার সামনে ছিলেন। তাঁদের পেছন থেকে দড়ি ধরে হাঁটছিলেন ওই কনস্টেবল। এভাবে আদালত ভবনের নিচে সিঁড়ির কাছে পৌঁছলে ওই আসামি কৌশলে হাতকড়া খুলে দৌড় দেন।
পরে তিনি পাশের একটি আদালতে যান। সেখানে গিয়ে পরিহিত সাদা শার্ট খুলে হাতে নেন। পরে লাল টি-শার্ট পরা অবস্থায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্র জিসান হোসেনকে অপহরণের পর হত্যা মামলাটি ঢাকার ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে বিচারাধীন। দুই আসামি শরীফুল ইসলাম এবং শাহিন মণ্ডলকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়।
পরে তাঁদের এজলাসে তোলা হয়। সাক্ষ্য শেষে আসামিদের আদালত (দ্বিতীয় তলা) থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে নিচ তলা থেকে পালিয়ে যান শরিফুল ইসলাম।