আশা-নিরাশায় এগিয়ে চলেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীর বহু কাঙ্ক্ষিত পুরনো ব্রহ্মপূত্র নদ খনন প্রকল্প। প্রকল্প শুরুর প্রায় ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও নদে শুকনো মৌসুমে পানি নেই। খনন করা অংশে জাগছে চর। বালুর স্তূপ পাহাড় হয়ে জমে আছে নদের তীরেই।
পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ
অবশেষে উৎসমুখে খননকাজ শুরু
নিয়ামুল কবীর সজল, ময়মনসিংহ

গাইবান্ধা জেলায় যমুনা নদী থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ জামালপুর-ময়মনসিংহের দিকে চলে আসার সংযোগ স্থলটিই উৎসমুখ নামে পরিচিত। উৎসমুখের স্থান খনন করা নিয়ে দুই বছর ধরেই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বাধা আসছিল।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৩৮ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নদ খননের কাজটি বাস্তবায়ন করছে। সব মিলিয়ে কাজটির জন্য মোট বরাদ দুই হাজার ৭৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এ নদ খননের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের দিকে। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালের জুন মাসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরুর দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যেই পুরনো ব্রহ্মপূত্র নদের ২২৭ কিলোমিটার অংশের খননকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। খননের পর নদে শুষ্ক মৌসুমেও ১০ ফুট পানি থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। নদের প্রশস্ততা হবে কমপক্ষে ১০০ মিটার। বলা হয়েছিল, প্রকল্প শেষ হলে এ নদ দিয়ে জাহাজ চলবে। এ নদ আন্তর্জাতিক নৌরুট হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখনো ধোয়াশায় ঘেরা।
কয়েক দশক ধরেই ব্রহ্মপুত্রের মরণ দশা মূলত উৎসমুখটি ভরাট হয়ে যাওয়া। শুধু ভরা বর্ষায় ভরাট হওয়া স্থান উপচে পানি চলে আসে ময়মনসিংহের দিকে। শুষ্ক মৌসুমে অনেক স্থানে খালের মতো চেহারা নেয় ব্রহ্মপুত্র নদ।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, উৎসমুখ খনন করতে না পারলে শুষ্ক মৌসুমে পানি আসবে না। তাঁরা বলেন, উৎসমুখটি ২৩-২৪ ফুট উঁচু। ভরা বর্ষায় পানি ভরাট হওয়া স্থানে পানি ময়মনসিংহের দিকে আসে। ভরাট হওয়া অংশ প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। এর মাঝে গাইবান্ধা জেলায় পড়েছে সাত কিলোমিটার। আর জামালপুর অংশে পড়েছে ২৯ কিলোমিটার। দুই অংশেই খননকাজ শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, উৎসমুখে সবার সহায়তায় খননকাজ শুরু হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরই তাঁরা এটি ওপেন করতে চান।
সাইদুর রহমান জানান, তাঁরা ২০২৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করছেন।
সম্পর্কিত খবর

ভুয়া স্বাক্ষর ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি নিয়ে রিজভীর সতর্কবার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানিয়েছেন, কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর স্বাক্ষর জাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী বলেন, ‘আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী এই মর্মে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, কোনো স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল আমার স্বাক্ষর জাল করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেছে। কিন্তু ফেসবুকে পোস্ট করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের স্থাপনা ভাঙায় দুঃখ প্রকাশ অর্থ উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯০ বছরের ঐহিত্যবাহী ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের পুরনো ভবন ভাঙায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, স্কুলের বিল্ডিং ভেঙে না ফেলে হেরিটেজ আকারে রাখা যেত। গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ১৯০তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভেঙে ফেলা হয়েছে, এখন আর কিছু করার নেই।

সংক্ষিপ্ত
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বদরুদ্দীন উমরের শারীরিক উন্নতি
নিজেস্ব প্রতিবেদক

বিশিষ্ট মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী রাজনীতিক ও তাত্ত্বিক বদরুদ্দীন উমর ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এ তথ্য জানান। ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘গত ২২ জুলাই ভোর ৫টার দিকে শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপজনিত কারণে বদরুদ্দীন উমরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন

ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ
।