নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতার দল’-এ যোগ দিয়েছেন শতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, মেজর জেনারেলসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার সাবেক সেনা কর্মকর্তা। দলটি বলছে, সামনের দিনে আরো সাবেক সেনা কর্মকর্তারা এতে যোগ দিতে পারেন।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব সাবেক সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে দেশের তরুণদের জন্য সেনাবাহিনীর মতো বেসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
দুর্যোগ ও সংকটে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি এই প্রশিক্ষিত বাহিনী কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন দলীয় নেতারা।
সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল। আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব আজম খান, প্রধান সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ডেল এইচ খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মতিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাব্বির, মেজর জেনারেল (অব.) ইসমাইল ফারুক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মহসিন ও মেজর (অব.) ইমরান।
অনুষ্ঠানে বত্তৃদ্ধতা করতে গিয়ে সদস্যসচিব আজম খান বলেন, ‘আপনারা দেশের প্রয়োজনে সব সময় এগিয়ে এসেছেন।
এবার দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্যও আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। আমরা আপনাদের সহায়তায় দেশের দুই কোটি তরুণকে সেনাবাহিনীর বেসিক প্রশিক্ষণ দিতে চাই।’
আজম খান আরো বলেন, ‘দুর্যোগে বা জাতীয় সংকটে এই প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী বিদ্যমান বাহিনীর পাশে থেকে কাজ করবে। এতে রাষ্ট্রের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে।
’
নিজের রাজনৈতিক যাত্রার পেছনের গল্প তুলে ধরে আজম খান বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার ক্রমে সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে আমি ২০২০ সালে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেশের স্বার্থে আবার ফিরে এসেছি। জনতার দলের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামালের আহ্বানে সাড়া দিয়েই আমি আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি।’ দলটির সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২০ মার্চ রাজধানী ঢাকায় এক ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘জনতার দল’। চার দিন পর ২৪ মার্চ দলটির পক্ষ থেকে প্রথম সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
পরদিন ২৫ মার্চ বনানীর ৮ নম্বর রোডে প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।