ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৯ মহররম ১৪৪৭
গাজীপুরের শ্রীপুর

ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন, সাড়ে ৩ ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন, সাড়ে ৩ ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
গাজীপুরের সাতখামাইর রেলস্টেশন এলাকায় গতকাল সকালে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনে আগুনের ঘটনা ঘটে। ছবি : কালের কণ্ঠ

গাজীপুরের শ্রীপুরে যাত্রীবাহী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের পাওয়ার কার (বগি) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে সাতখামাইর রেলস্টেশনের কাছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে এ ঘটনা ঘটে। এতে রেলপথটিতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মোহনগঞ্জগামী ট্রেনটি সাতখামাইর রেলস্টেশন অতিক্রম করার আগে পাওয়ার কারে আগুন লাগে। প্রথমে ট্রেনের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় কর্মীরাসহ যাত্রী ও আশপাশের মানুষজন তা নেভানোর চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধাঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্রেনের পাওয়ার কারে আগুন, সাড়ে ৩ ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধগাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগুনে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তবে ট্রেনের পাওয়ার কারের ভেতর ভস্মীভূত হয়েছে। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, জেনারেটরের অতিরিক্ত হিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় রেলপথটিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ট্রেনটির সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) আজিজুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি সকাল ১১টার দিকে সাতখামাইর রেলস্টেশনের হোম সিগন্যালের কাছাকাছি পৌঁছার পর আগুন আগুন চিৎকার শুনতে পান তিনি। পরে লোকোমাস্টার ওই স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। তিনি জানান, পাওয়ার কারে যাত্রী থাকে না। সেখানে দুজন জেনারেটর অপারেটর ছিলেন।

ট্রেন থামানোর পর তাঁরা বগি থেকে নিরাপদে নেমে গেছেন।

তবে লিমন রহমান নামের এক যাত্রী দাবি করেন, তিনিসহ ওই বগিতে (কার) ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শিশু ও নারী যাত্রীও ছিলেন। প্রথমে তাঁরা জেনারেটরের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। পরে আগুন দেখে ভয়ে চিৎকার শুরু করেন। এরই মধ্যে চালক ট্রেন থামিয়ে দিলে তিনিসহ সব যাত্রী নিরাপদে নেমে যান।

ট্রেনের টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম জানান, সাতখামাইর রেলস্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছার পর আরেক বগি থেকে পাওয়ার কার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তাঁরা। তখন পাওয়ার কারে থাকা যাত্রীরা চিৎকার করছিলেন। পরে তাৎক্ষণিক ট্রেনটি থামানোর ব্যবস্থা নেন। ট্রেন থামার পর পুরো পাওয়ার কারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ট্রেনের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। পরে যাত্রী ও আশপাশের মানুষজন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধাঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর প্রায় সোয়া ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, আগুনে পোড়া বগিটি সরিয়ে নেওয়ার পর দুপুর ২টা ২২ মিনিটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

ঝুঁকি নিয়ে হাজারো যাত্রীকে ঝুঁকিমুক্ত করলেন শাহাব

হাজারো যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি যখন সাতখামাইর হোম সিগন্যালের কাছে তখন পাওয়ার কার (বগি) থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। চালক রেলস্টেশনটির কাছাকাছি ট্রেন থামানোর পর মুহূর্তে পুরো বগিতে আগুন ছড়িয়ে দাউদাউ করে জ্বলছিল। আগুন অন্য বগিগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখে সেখানে ছুটে যান স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক) মো. শাহাব উদ্দিন। প্রথমে জ্বলতে থাকা বগিটির পেছনের হুক খুলে দেন। পরে চালককে ট্রেন সামনে নিয়ে যাওয়ার সংকেত দেন। এরপর ওই বগির সামনের হুক খোলার পর চালক ছয়টি বগিসহ প্রায় দেড় শ গজ সামনে নিরাপদে ট্রেন থামান। এর ফলে ঝুঁকিমুক্ত হয় ট্রেনে থাকা হাজারো যাত্রী।

শাহাব উদ্দিন (৬৯) শ্রীপুর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিজে ঝুঁকি নিয়ে হাজারো যাত্রীকে ঝুঁকিমুক্ত করায় তাঁকে নিয়ে অনেকেই প্রশংসা করেছে। শাহাব উদ্দিন জানান, গতকাল সকালে তিনি সাতখামাইর বাজারে ছিলেন। দূর থেকে ট্রেনের একটি বগিতে আগুন দেখে দৌড়ে সেখানে যান তিনি। অন্য বগিগুলোতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখে তাৎক্ষণিক ওই উদ্যোগ নেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, তা না হলে অনেক হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। বগির একটির সঙ্গে আরেকটির যুক্ত বা বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে তাঁর প্রশিক্ষণ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেল বিভাগে ট্রেন প্রশিক্ষক থাকাকালীন এ প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। পরে লোকোমাস্টার থাকাকালেও অনেক সময় এটা করতাম।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহজালালে প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে দুজন সঙ্গী প্রবেশের নির্দেশনা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমন প্রতিজন যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন সঙ্গী প্রবেশ করতে পারবেন—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই নির্দেশনা আগামী রবিবার (২৭ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরো বলা হয়, বিমানবন্দর এলাকায় আসা সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল ও কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

যানজট ও নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের পদক্ষেপকে জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, প্রয়োজনে এই নিয়ম আরো কড়াকড়ি করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণসহ পরিচয়পত্র রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ হাসিনার মামাতো ভাই হিরা কারাগারে

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার আমির হোসেন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামাতো ভাই শেখ ওয়ালিদুর রহমান হিরাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।

এদিন হিরাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক মো. মাসুদ রানা তাঁকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত বুধবার ভাটারা এলাকা থেকে শেখ ওয়াহিদুর রহমান হিরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মন্তব্য

দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেড় দশকে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসে’ নিহতদের তালিকা তৈরির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের ‘সন্ত্রাসী’ হামলা এবং তৎকালীন ‘সরকারের নির্দেশে’ রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ এবং মামা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই নির্দেশ দেন।

সাক্ষাতে আবরার ফাহাদের পরিবার দাবি জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের তালিকা তৈরি করে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। একই সঙ্গে আবরার হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে সরকারের উদ্যোগ চান তাঁরা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এ ঘটনার বিচার অবশ্যই শেষ হবে। গণ-অভ্যুত্থানের আগের ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনের হাতে যারা প্রাণ হারিয়েছে, তাদের প্রতিটি ঘটনার সঠিক তদন্ত হবে। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে যে হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটেছে, সেগুলোও তদন্তের আওতায় রয়েছে।

সরকার এরই মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

সাক্ষাৎকালে মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থে কথা বলার কারণেই আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। অসম পানিবণ্টনের বিরুদ্ধেও সে কথা বলেছিল। আজও তার মা ছেলের জন্য কান্না করে।

 

মন্তব্য

হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

    রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান!
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজউকের প্লট

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের ১৫ চালককে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৫ চালককে প্লট দেওয়া হয়।

গত বুধবার কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানান।

দুদক সূত্র জানায়, রাজউকের ঝিলমিল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ঝিলমিল প্রকল্পের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে চার শ্রেণিতে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দের ক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চিঠি দিলে রাজউক তা বাস্তবায়ন করে। ওই প্রকল্পে ১৩/এ ধারার আওতায় বিভিন্ন সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২-এর গাড়িচালক, বিশেষ সহকারীর গাড়িচালক, সহকারী একান্ত সচিব-১-এর চালক, একান্ত সচিব-১ ও ২-এর চালক, প্রটোকল অফিসারের চালক, মুখ্য
সচিবের চালক, চিফ ফটোগ্রাফারের চালকসহ প্রায় ১৫ জন চালককে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তবে এসআরও এবং রাজউক বিধিতে অসামান্য অবদানের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া পাওয়া যায়নি। প্লট বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের কোন কোন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ