<p>আগামী গ্রীষ্মে গরমের মাত্রা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর লোডশেডিং নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, সরকার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি বৃদ্ধি, ট্রান্সফরমার মেরামত এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নয়নে কাজ করছে। বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে।</p> <p>গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ আগ্রাবাদে আবিদারপাড়া এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বিদ্যুতের অপব্যবহার রোধ করতে হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, অবৈধ সংযোগ বন্ধ করতে হবে। এসি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখা উচিত, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আগামী বর্ষার মধ্যে জলাবদ্ধতা হয়তো পুরোপুরি শেষ হবে না, কিন্তু উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। এটি সমাধান করতে আরো সময় লাগবে।’ তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) তদন্ত করবে। আমাদের কাজ হচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন, সিডিএসহ অন্যান্য সংস্থাকে সহযোগিতা করা।’ ড্রেন, খাল-নালার মধ্যে প্লাস্টিক ও পলিথিন না ফেলার আহ্বান জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, শুধু খাল খনন করলেই হবে না। খালের পানি যাতে দূষিত না হয়, সে বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। জনসম্পৃক্ততা তৈরি করতে হবে।</p> <p> </p>