ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭
গত সরকারের আমলে পুলিশে প্রায় ২০০০ জন চাকরিচ্যুত

মানবেতর জীবনযাপন ভুক্তভোগীদের

  • আইজিপির আশ্বাসের সাড়ে তিন মাসেও অগ্রগতি নেই
মোবারক আজাদ
মোবারক আজাদ
শেয়ার
মানবেতর জীবনযাপন ভুক্তভোগীদের

প্রায় দুই হাজার চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল-এসআই) বছরের পর বছর মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় দীর্ঘ সময় ধরে আশায় বুক বাঁধছেন তারা। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চাকরি পেতে ১০ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগীরা। সে সময় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস এবং একটি মূল্যায়ন কমিটি করে দেন।

আইজিপির পরিবর্তনসহ প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে সাড়ে তিন মাসেও চাকরিচ্যুতদের কর্মস্থলে পুনর্বহাল হওয়ার অগ্রগতি দেখছেন না বলে দাবি তাদের। তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, কাজ (যাচাই-বাছাই) চলমান রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বেআইনি আদেশ না শোনা, ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, পারিবারিক মামলা, ছুটি না দেওয়ায় তর্ক করার মতো কারণ দেখিয়ে বিভাগীয় মামলাসহ নানা কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত হয়েছেন এসব পুলিশ সদস্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ভঙ্গুর অবস্থা থেকে পুলিশ বাহিনীকে শক্ত অবস্থানে ফেরাতে চাকরিচ্যুতদের মধ্য থেকে বিশেষ বিবেচনায় যাদের ফেরানো সম্ভব ফেরানো যেতে পারে।

কারণ অনেকে হয়তো অতি সামান্য কারণে কিংবা রোষানলে পড়ে চাকরি হারিয়েছেন। এ ছাড়া বিনা অপরাধে চাকরিচ্যুত হলে সুবিচার না পেয়ে অনেকের নতুন করে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সে অপরাধ জানাজানি হলে পুলিশের সুনামই ক্ষুণ্ন হয়।

এ বিষয়ে অপরাধ ও সমাজ বিশ্লেষক অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, চাকরিচ্যুতদের আবেদনগুলো অবশ্যই গভীরভাবে তদন্তের প্রয়োজন।

কেউ বিনা দোষে কিংবা লঘু দোষে গুরুদণ্ড অথবা রোষানল-বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। তাদের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য নানা সরকারের আমলে নানা কারণে হয়রানির শিকার হয়েছেন, সেটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

একাধিক চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, হাসিনা সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রোষানলে পড়ে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য। তাদের অনেকেই অসহায় জীবন যাপন করছেন।

কেউ অটোরিকশা চালাচ্ছেন, কেউবা পণ্য ফেরি করছেন। অনেকে এই সময়ের মধ্যে মারাও গেছেন। কারো চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে। অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

২০২১ সালে চাকরিচ্যুত হওয়া এএসআই মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কেউ ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কেউ বা আবার কোনো পোস্টে কমেন্ট করে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত পুলিশ সদস্যদের দাবি, আদালত ও বিভাগীয় তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি হারিয়েছেন তারা। তাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দাবি জানালে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ভুক্তভোগী সদস্যরা পুনর্বহালের আবেদন করেন।

চাকরি বহালের দাবি জানিয়ে কনস্টেবল ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ২০২১ সালে বগুড়া জেলায় আমাকে ডোপ টেস্টের নামে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও আমাকে চাকরিতে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, আইন শাখার কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা জজ মুর্শিদ আহমেদের  নেতৃত্বে গঠিত মূল্যায়ন তদন্ত কমিটি সর্বশেষ এক হাজার ৫২২ জনের একটি তালিকা করে এবং বাকিদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলমান রেখেছিল। কিন্তু আইজিপি পর্যায়ে রদবদল হওয়ায় কাজে ঢিলেঢালা ভাব আসে। এ কারণে প্রক্রিয়াটি স্থবির হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে শোয়েব রিয়াজ আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, আবেদনগুলোর কেস টু কেস তথ্য দেখা হচ্ছে। অনেক আবেদন, আরো সময় লাগবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মা বললেন ‘ও বাবা, আমার রায়েশা কই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মা বললেন ‘ও বাবা, আমার রায়েশা কই’

বিকেল ৩টা। চারদিকে হৈচৈ। একটির পর একটি অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকছে আর বের হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঠিক সে সময় সন্তানের খোঁজে এক মা দৌড়ে স্কুলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। আর্মির ব্যারিকেডে তিনি আর সামনে আগাতে পারেননি। থেমে গিয়ে মা রাইমা হোসেন ওই সৈনিককে জিজ্ঞেস করেন, ও বাবা, আমার রায়েশা কই? গতকাল মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার পর সরেজমিনে এই চিত্র দেখা যায়। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়েশা আলমকে খুঁজতে তার মা রাইমা হোসেন স্কুলের গেটের সামনে আসেন।
পরে শিক্ষার্থীরাই তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।

 

মন্তব্য

দুর্ঘটনার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুর্ঘটনার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের এ খবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের খবর জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এতে ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। 

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি ঢাকায় স্কুলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৬ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি স্কুল ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ১৯, আহত হয়েছে শতাধিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে থাকা চীনের তৈরি একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ মহড়া চলাকালে বিধ্বস্ত হয়েছে।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার বলেছে, বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢাকার একটি কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে এক্সপ্রেস, ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের এই বিমান বিধ্বস্তের খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

মন্তব্য
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর অভিমত

৭ শিশুর পরিচয় শনাক্তে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৭ শিশুর পরিচয় শনাক্তে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, যে ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন, তারা সবাই শিশু। এর মধ্যে সাতজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে।

তবে সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে মোট ২০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সায়েদুর রহমান বলেন, তাঁদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ সময় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আজ তাদের রক্তের প্রয়োজন নেই। আগামীকাল (মঙ্গলবার) রক্তের প্রয়োজন হবে। তাই আজ আর কারো কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে না।

নাসির উদ্দীন বলেন, ইনফেকশন (সংক্রমণ) হলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে পারে।

তাই হাসপাতালে বহিরাগতদের প্রবেশ না করার অনুরোধ জানান তিনি। সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা এলেও রোগীদের কাছে যাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

 

মন্তব্য
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত

২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে চিরবিদায় নিলেন শিক্ষিকা মেহরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে চিরবিদায় নিলেন শিক্ষিকা মেহরিন
মেহরিন চৌধুরী

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ এখন দেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করছে। প্রাণপণ চেষ্টা করে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর নিজের। তাঁর ভাই মানাফ এম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত এবং শতাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তাঁদের বেশির ভাগই ছুটে গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

৪৬ বছর বয়সী মেহরিন চৌধুরী শতভাগ দগ্ধ অবস্থায় ওই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি, তাঁর মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ক্লাসরুম থেকে শিক্ষার্থীদের দ্রুত সরিয়ে ফেলেন মেহরিন। তাদের নিরাপদে বের করে দিতে গিয়ে নিজে আর সময়মতো বের হতে পারেননি। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া এক সেনা সদস্য বলেন, ম্যাডাম ভেতরে ঢুকে গিয়ে বাচ্চাগুলারে বের করে দিছেন, তারপর উনিই বের হতে পারেননি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষিকা মেহরিনের সাহসিকতায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

মানবিকতা, সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে রইলেন মেহরিন চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচিয়ে নিজে হারিয়ে গেলেন। একজন শিক্ষিকার এমন আত্মত্যাগ কোনোভাবেই ভোলার নয়।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ