চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের ‘গুণ্ডারা’ হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে এক গণসংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
সাকি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন পাঁয়তারা করছেন। তাই সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আদালতে তোলা হলে সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিভাবে আদালতপাড়ায় হামলা হয়, এটা এখন সবার প্রশ্ন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাকি বলেন, সংবিধান সংস্কার ও বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না করে স্বচ্ছতা আনতে হবে। এ ছাড়া আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী দুইবারের বেশি থাকতে পারবেন না—এমন বিধান সংবিধানে যুক্ত করতে হবে। ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সাকি আরো বলেন, দেশে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ইসকনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যা করে একটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরি করে গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার চক্রান্ত চলছে। চট্টগ্রাম ওই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে।
‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে চট্টগ্রামের সিআরবি শিরীষতলায় গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাসিরুদ্দিন তালুকদার। বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ফেনী জেলা গণসংহতির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. হারুন, মীরেরসরাই আহ্বায়ক শামসুদ্দীন মোহাম্মদ, সন্দ্বীপের সাংগঠনিক সচিব নাজিম উদ্দীন আরিফ, বি এম ডিপোর আহত শ্রমিক নূর হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি রিদোয়ান ফরহাদ প্রমুখ।