আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে পুলিশ ও জনগণের যৌথ ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে পুলিশের কর্মকাণ্ডকে স্বচ্ছ রাখতে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে রাজনীতিবিদরা পুলিশকে বিপদে ফেলতে পারবেন না।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ভয়েস ফর রিফর্মের আয়োজনে ‘পুলিশের আনুগত্য হোক আইন ও জনগণের প্রতি, ক্ষমতার প্রতি নয়’ শীর্ষক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বলেন, সাধারণ মানুষ আইনি সহায়তা নিতে থানাকে আরো কার্যকর ভূমিকায় দেখতে চায়। এ জন্য প্রতিটি থানায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ও এনজিও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। যেখানে পুলিশ ক্ষমতার প্রতি আনুগত্য ছেড়ে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এই সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।
সভায় মূল আলোচক বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান এবং সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মো. নাজমুল হক। নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কারে প্রথমে নিয়োগে স্বচ্ছতা ও চাকরির ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো কি এই দায়িত্ব নেবে? পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হবে, এতে সাহসের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “‘আমার গদি ঠিক থাক, বাকি যা হবার হোক’ এমন রাজনীতি থাকলে পুলিশ বাহিনী সংস্কার সম্ভব হবে না। এ ছাড়া ‘দেশ স্বাধীন করলেন, তবে ক্ষমতা উপভোগ করতে পছন্দ করেন; আবার প্রজাতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র করলেন, তবে তা বাস্তবায়নে যা প্রয়োজন তা করলেন না’ এসব করলে সংস্কার করা যাবে না। পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। সংস্কার করতে হলে তা দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। এ জন্য সে ধরনের মানসিকতা থাকা প্রয়োজন।
আইনেও পরিবর্তন আনতে হবে।”
নাজমুল হক বলেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেখে যদি পুলিশের নিয়োগ হয়, তবে তারা নিরপেক্ষ কিভাবে হবে।