ঢাকা, বুধবার ২৭ আগস্ট ২০২৫
১১ ভাদ্র ১৪৩২, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৭ আগস্ট ২০২৫
১১ ভাদ্র ১৪৩২, ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭
দাওয়াই

গ্লকোমা : প্রতিরোধই একমাত্র উপায়

শেয়ার
গ্লকোমা : প্রতিরোধই একমাত্র উপায়

গ্লকোমাজনিত অন্ধত্বের কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। বিশ্বে অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ হলো গ্লকোমা। এই রোগটি উন্নত এবং উন্নয়নশীল সব দেশেই প্রায় সমানভাবে বিস্তৃত। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের নারী-পুরুষের ২ শতাংশ এই রোগে ভুগে থাকে।

তবে যাদের মা-বাবা কিংবা আত্মীয় এই রোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে চল্লিশের আগেও গ্লকোমা হতে পারে।

রোগটির উপসর্গ বা লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা গেলে খুব সামান্য ওষুধেই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং প্রয়োজনবোধে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন করলে স্থায়ীভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব। অথচ চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে পরিণতি হলো অন্ধত্ব। 

কেন এই রোগ হয়?

এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও অদ্যাবধি চোখের উচ্চচাপই এ রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়।

তবে স্বাভাবিক চাপেও এ রোগ হতে পারে।

গ্লকোমা দুই ধরনের হয়

ওপেন-এঙ্গেল গ্লকোমা : এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের গ্লকোমা এবং এটিকে ওয়াইড-এঙ্গেল গ্লকোমাও বলা হয়।

এঙ্গেল-ক্লোজার গ্লকোমা : এটি কম সাধারণ এবং এটি একিউট অথবা ক্রনিক অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার অথবা ন্যারো-অ্যাঙ্গেল গ্লকোমা নামেও পরিচিত। এটি সাধারণত ছানি এবং দূরদর্শিতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

লক্ষণ : এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো এত হালকা যে এগুলোকে দীর্ঘ সময়ের জন্য লক্ষ করা যায় না। প্রথম লক্ষণটি হলোসীমান্তবর্তী দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা।

নির্ণয়

* নিয়মিত চোখের চেকআপ।

* চোখের চাপ পরিমাপ করার জন্য, টনোমেট্রি নামের একটি পরীক্ষা করা হয়।

এ ছাড়া, সীমান্তবর্তী দৃষ্টির হানি পরীক্ষা করতে একটি ভিজ্যুয়াল ফিল্ড টেস্ট করা হয়।

গ্লকোমা নির্ণয় হওয়ার আগেই হারিয়ে যাওয়া দৃষ্টিশক্তিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা অসম্ভব, কিন্তু চিকিৎসা অবস্থাটির খারাপ হওয়া থামাতে পারে।

কোনো চিকিৎসা আছে কি? 

এখন পর্যন্ত গ্লকোমা সম্পূর্ণ নিরাময়ে কোনো ট্রিটমেন্ট নেই, তবে যাতে এটির মাত্রা না বেড়ে যায় সেদিক বিবেচনা করেই বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে এই রোগকে রোধ করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে চোখের ড্রপ ব্যবহার করা সব থেকে ভালো এবং এটি সারা জীবনের জন্য করে যেতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই অস্ত্রোপচার করাতে পারেন, তাতে অল্প হলেও সুরাহা হয়। অনেকেই লেজার সার্জারির সাহায্য নেন, তাতে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. শরমীন সোহেলী

সিনিয়র কনসালট্যান্ট

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ঢাকা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভিকারুননিসার সেই শিক্ষক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভিকারুননিসার সেই শিক্ষক বরখাস্ত

হিজাব পরায় ছাত্রীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বসুন্ধরা প্রভাতি শাখার সহকারী শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কেন তাঁকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, এ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

মৃত্যু নেই, হাসপাতালে আরো ৪৭০ ডেঙ্গু রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মৃত্যু নেই, হাসপাতালে আরো ৪৭০ ডেঙ্গু রোগী

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৪৭০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ে রোগটিতে কারো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু পরিস্থিতির এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত এক দিনে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের ১৪৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৯৪ জন, ঢাকা বিভাগে (মহানগরের বাইরে) ৯০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন ও রংপুর বিভাগে ছয়জন।

রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৫১৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১৮ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে।
এই বিভাগে রোগী ৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু ১৮ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে এক হাজার ৪১৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৮ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে ৯৩৮ জন।

 

 

মন্তব্য
ডা. মোস্তাক আহমেদের সাক্ষ্য

চিকিৎসায় বাধা দিয়েছিলেন স্বাচিপের চিকিৎসকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চিকিৎসায় বাধা দিয়েছিলেন স্বাচিপের চিকিৎসকরা

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের হতাহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রসিকিউশনের আরো পাঁচ সাক্ষী। তাঁরা হলেন—মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মফিজুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম, একই হাসপাতালের একই বিভাগের চিকিৎসক মোস্তাক আহমেদ, ফেনীর ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ নাসিরউদ্দিন ও শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা সাইদুর রহমান খান।

গতকাল মঙ্গলবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁরা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীরা হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেন ট্রাইব্যুনালের কাছে।

পরে তাঁদের জেরা করেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমীর হোসেন।

 

মন্তব্য
শামা ওবায়েদ

আ. লীগ আমলে দল-মত-নির্বিশেষে জনগণ নির্যাতিত হয়েছে

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
আ. লীগ আমলে দল-মত-নির্বিশেষে জনগণ নির্যাতিত হয়েছে

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গত ১৫ বছরে দল-মত-নির্বিশেষে দেশের জনগণ নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তবে সেই পরিস্থিতির মধ্যেই জনগণের মধ্যে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন জেগেছিল। গতকাল ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আয়োজিত পরিচালনা পর্ষদের পরিচিতি ও মতবিনিময়সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ