<p>দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ঝিনাইদহ সদরের হামদহ-টিকারী সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। সড়কের মাঝখানে থাকা বড় বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে ইজি বাইকসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ। মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হামদহ ইসলামপাড়া, গোবিন্দপুর, বালিয়াডাঙ্গা বাজার, মগরখালি এলাকায় সড়কের বিভিন্ন অংশে বিটুমিন, পাথর, ইটের খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দ। এ ছাড়া হারাণঘাট, নারিকেলবাড়িয়া, কুশবাড়িয়া বাজার এলাকায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিন চাকার যানবাহন ইজি বাইক, মাহেন্দ্র, আলমসাধু থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবহন চলাচল করছে।</p> <p>কুশবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জরুরি সেবার জন্য রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে পড়তে হয় মহাবিপাকে। গত ডিসেম্বর মাসে আমার এক আত্মীয় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতাল নেওয়ার জন্য আমরা রওনা করি, তবে পথেই তিনি মারা যান।’ ঝিথোর গ্রামের কৃষক অমল কুমার বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো বাজারে নিয়ে যেতে কষ্ট হয়। অনেক সময় যানবাহনে বেশি টাকা ভাড়া দিতে হয়। ফলে ফসলের বাজারমূল্য ভালো পেলেও আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।’ দোগাছী গ্রামের চা দোকানি আলী আকবর বলেন, ‘বর্ষাকালে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা খুব কষ্টকর। সড়কের মধ্যে অনেক সময় গাড়ি উল্টে পড়ে। এতে ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।’</p> <p>স্থানীয় ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিটন বলেন, ‘প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে কালীচরণপুর, দোগাছি, ঘোড়শাল, সুরাট ও ফুরসন্ধি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্তমানে তারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। গতবছর এই সড়কের জন্য প্রকল্প পাস হলেও অদৃশ্য কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই অনতিবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’ এ বিষয়ে এলজিইডি বিভাগের সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘আমাদের অধীন ১৮ কিলোমিটার এই সড়কের পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এরই মধ্যে এ সড়কের জন্য প্রকল্প পাস হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত ঠিকাদার নিয়োগ করে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের কাজ শুরু করা হবে।’</p>