<p>কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের এক কোটি ৭৬ লাখ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির এক দাতা সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার হাজী মো. মাছিম উদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুল আফছার।</p> <p>লিখিত বক্তব্যে প্রধান শিক্ষক বলেন, দাতা সদস্য জিল্লুর রহমান ১৯৯৪ সালে মাছিম উদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনুকূলে ২৩ শতাংশ জমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজি) নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। সম্প্রতি সড়ক নির্মাণকাজে ওই বিদ্যালয়ের ২৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের আওতার মধ্যে পড়ে। এর পর থেকে জিল্লুর রহমান বিদ্যালয়ের নামে জমি লিখে দেওয়ার বিষয়টি গোপন করে পুরনো কাগজপত্র দেখিয়ে বিদ্যালয়ের জমিটি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নিজ নামে নামজারি করে নেন। নিজের নামে টাকা উত্তোলনের জন্য জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি মঞ্জুর হওয়ার পর ২৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের এক কোটি ৭৬ লাখ টাকার চেক তুলে নেন জিল্লুর। বিষয়টি জানাজানি হলে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহমুদুল হাসান রাসেল বাদী হয়ে জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেন। চলতি বছরের ২০ মার্চ আদালত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন জিল্লুরকে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমানের ছেলে কাওসার বলেন, ‘মামলার রায় যদি আমাদের পক্ষে আসে তাহলে আমরা টাকা রাখব। আর বিপক্ষে গেলে টাকা ফেরত দেব।’ </p>