এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে সফল কাউন্সিলরদের স্বর্ণপদক দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসির যেসব ওয়ার্ডে শূন্যসংখ্যক ডেঙ্গু রোগী থাকবে, তাদের এ পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হলরুমে দ্বিতীয় পরিষদের ২৮তম করপোরেশন সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
এরই মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের আরো বেশি উৎসাহী করার জন্যই এই ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের। ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একযোগে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময়সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচারণার ব্যবস্থা করছেন।
প্রসঙ্গত, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হয়। ওই সময়সীমার মধ্যে জরিপে যেসব ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা শূন্য থাকবে, সেসব ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের দেওয়া হবে এই পুরস্কার। পাশাপাশি পুরস্কৃত করা হবে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীদেরও।
ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ মূল্যায়নপ্রক্রিয়া ঠিক করে এটি বাস্তবায়ন করবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘গত বছর ঈদে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে আমরা সফল হয়েছিলাম। পূর্বঘোষিত আট ঘণ্টারও কম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ বছর আমাদের টার্গেট ছয় ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা। সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সার্বক্ষণিক মাঠে থাকতে হবে।
আমি নিজেও মাঠে থাকব।’
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে জড়িত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসিতে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ওয়ার্ডভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করে দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’