নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া সেই বাড়িতে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া অভিযান শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টার দিকে। বাড়িটিতে কোনো জঙ্গি পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা, অভিযানের দু-একদিন আগেই সটকে পড়ে জঙ্গিরা। এ ছাড়া নেত্রকোনা পৌরসভার বনোয়াপাড়ায় আরেকটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শনিবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ।
নেত্রকোনার ২ জঙ্গি আস্তানায় মিলল বিস্ফোরকসহ ৮০ ধরনের সরঞ্জাম
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

দুটি অভিযানে জঙ্গিদের বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের নাশকতার কাজে ব্যবহৃত দুটি বিস্ফোরক (ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস—আইইডি)। ডিভাইস দুটি ঘটনাস্থলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছেন বোমা বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা। এ ছাড়া প্লাস্টিকের তৈরি ২০টি ডামি রাইফেল, ছয়টি অব্যবহৃত সিসি ক্যামেরা, ইলেকট্রিক করাত, ফ্লাশ লাইট, সিলিকনের তৈরি মানবাকৃতির পাঞ্চিং বক্স, একটি ল্যাপটপ, এক জোড়া হ্যান্ডকাফ, দুটি অত্যাধুনিক কম্পাস, পাঞ্চিং ব্যাগ, মার্শালাইড ড্রেস, রামদাসহ ৮০টি সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
অভিযানে পুলিশের সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট, গোয়েন্দা পুলিশসহ ১৫০ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য অংশ নেন।
বাড়িটির লাগোয়া একটি ফসলি জমির মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘এই বাড়ির লোকজনের এলাকার কারো সঙ্গেই যোগাযোগ ছিল না। আমরা জানি ভেতরে মাছ চাষ করা হয়।’
ভবনটির পাশের গৃহবধূ রহিমা খাতুন বলেন, ‘মাঝে মাঝে দেখতাম বাড়ির মহিলারা বোরকা, হাত-পায়ে মোজা লাগিয়ে প্রাইভেট গাড়িতে করে আনাগোনা করত।
এদিকে নেত্রকোনা পৌরসভার বনোয়াপাড়া শমশেরনগর এলাকায় তানভীর কটেজ নামের আরেকটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গিদের বসবাস করার অভিযোগে শনিবার রাতে ফ্ল্যাটটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে এখান থেকেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযান শেষে পুলিশের ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘প্রায় তিন একর জমিতে প্রাচীর ঘেরা ভবনটির ভেতরের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে বোঝা গেছে, এটি একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রচুর জিনিস পাওয়া গেছে।’
তিনি আরো জানান, ভবনের বাথরুমসহ অন্যান্য আলামত দেখে বোঝা যায়, এখানে প্রায়ই ১৫ থেকে ২০ জন লোক অবস্থান করত।
বাড়িটির মালিক মো. আব্দুল খালেক জানান, ২০২৩ সালের শুরুতে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মাসিক পাঁচ হাজার টাকায় ডাইনিং, কিচেনসহ দুই কক্ষের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন।
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন


ডেঙ্গু রোগী


চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নৌ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, পরিদর্শনকালে নৌবাহিনী প্রধান এনসিটি-২ জেটি এলাকায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম, এপ্রেইস পয়েন্টে কনটেইনার এক্সামিন কার্যক্রম এবং সিটিএমএস ভবনে টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
আইএসপিআর আরো জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সোমবার চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এনসিটির দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বন্দরের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান ।

ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাবি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘সাদা-নীল ভাগাভাগি, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের চামচারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘গণহত্যার মদদদাতারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ঢাবি ক্লাবে হবে না, দালালদের ঠিকানা’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর’ নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর না পেরোতেই ঢাবি ক্লাবে খুনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ঢাবি ক্লাবের ১৫ সদস্যের কমিটির সাতজনই নীল দলের সদস্য, যা সাদা দলের শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক।
অন্য শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছিলেন নীল দলের শিক্ষকরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরও নীল দলের শিক্ষকরা ঢাবি ক্লাবে বিপ্লব বেহাত করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।