চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২০০৫ সালের আগে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা ছিল মাত্র পাঁচটি। এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীকে অন্য হাসপাতালে নেওয়া হতো। তবে প্রায় ২০ বছরে হাসপাতালে আইসিইউতে শয্যা বেড়েছে ৪৫টি (৯ গুণ)। বর্তমানে দুটি আইসিইউতে শয্যা রয়েছে ৫০টি।
চমেক হাসপাতাল
বাড়ছে আইসিইউ শয্যা কমবে ভোগান্তি
- * এক-দেড় মাসের মধ্যে বাড়ছে ৩৫টি শয্যা * লোকবল না বাড়ায় সেবা দিতে হিমশিম
নূপুর দেব, চট্টগ্রাম

আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে আইসিইউ, প্রসূতি, পেডিয়াট্রিক ও নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে আরো ৩৫টি শয্যা বাড়ছে। এ নিয়ে চমেক হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যা হবে ৮৫টি।
দুই হাজার ২০০ শয্যার চমেক হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি আইসিইউ শয্যা বেড়েছে চলতি বছর। তবে চিকিৎসক ও নার্সসহ দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চমেক অ্যানেসথেসিওলজি বা অবেদনবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদে দুজন করে শিক্ষক (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক) থাকলেও সহকারী অধ্যাপকের তিনটি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের অধীনে আইসিইউ বিভাগে অ্যানেসথেসিওলজিস্টের (অবেদনবিদ) ১৮টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১২ জন। এর মধ্যে সহকারী রেজিস্ট্রারের একমাত্র পদটিও শূন্য রয়েছে।
আইসিইউতে চিকিৎসক-নার্স সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলীম উদ্দীন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি আমরা আইসিইউর জন্য লোকবল পাব।’
পরিচালক আরো বলেন, ‘আইসিইউতে আরো ১০টি শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো প্রসূতি ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যা ও নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে ১০ শয্যার আইসিইউ হচ্ছে।
একই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চার মাস আগে হাসপাতালের নিচতলায় ৩০ শয্যার নতুন করে একটি আইসিইউ চালু হয়েছে। আর চারতলার আইসিইউ বর্তমানে ২০ শয্যা। এটিকে ৩০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য এক সপ্তাহ আগে কাজ শুরু হয়েছে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এই ১০ শয্যাসহ চারতলায় ৩০ শয্যায় আইসিইউতে রোগী ভর্তি করাতে পারব।’
অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশিদ বলেন, অ্যানেসথেসিওলজিস্ট (এমও) থেকে সহকারী অধ্যাপকসহ আরো বিভিন্ন পদে ১৮-২০ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন। বর্তমানে দুটি আইসিইউতে নার্স আছেন ৬৫ জন। এখানে আরো নার্স প্রয়োজন ৫০-৬০ জন। এ ছাড়া অন্যান্য লোকবলেরও সংকট রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।