আজ ১৭ মে শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। তিনি ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের নির্বাসন থেকে দেশে ফেরেন। দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করবে আওয়ামী লীগ ও সমমনা সংগঠনগুলো। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করে আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আর তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে একদল বিপথগামী সেনা সদস্য। এ সময় বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তাঁরা ভারতে আশ্রয় নেন।
বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বও বিভাজিত হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সে সময়ে জিয়াউর রহমানের সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে না দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি : শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। সকাল ৯টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বিনিময়। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচি পালন হবে।
ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা : শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ভিসি চত্বর-শহীদ মিনার হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। এরপর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পর্কিত খবর

সাত জেলায় নতুন পুলিশ সুপার
- ৫২ কর্মকর্তার বদলি-পদায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ে ফের বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি), উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৫২ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল একযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ৩৬ জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।
নতুন এসপি : গতকাল এসপি পদমর্যাদার সাত কর্মকর্তাকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ওই কর্মকর্তাদের বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শিল্পাঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ আল মামুন শিকদারকে বরগুনার এসপি, পিবিআইয়ের এসপি মো. আসাদুজ্জামানকে বাগেরহাটের, পুলিশ অধিদপ্তরের মো. মেনহাজুল আলমকে নরসিংদীর, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে নারায়ণগঞ্জের, ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকীকে মেহেরপুরের, এসবির বিশেষ এসপি মো. রবিউল ইসলামকে নড়াইলের ও হাইওয়ে পুলিশের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামকে নাটোরের এসপি করা হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব
নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থাকলে শাস্তি মেনে নেব
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রহসনের নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলানগর থানার মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত শুনানি শেষে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখান। শুনানির সময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থাকলে তিনি শাস্তি মেনে নেবেন।
জাহাঙ্গীর আলমকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের হামলা, গোলাগুলি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় পাঁচ-ছয়টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদীতে মহড়া শুরু করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। ক্যাম্পের কাছাকাছি জায়গায় এসে প্রথমে চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, পিয়াসের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়টি ট্রলার নিয়ে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ জন নৌ ডাকাত পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ। এই সত্যটা যদি স্বীকার না করি, তাহলে আমরা শোধরাব কী করে?’ গতকাল সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে ‘নাগরিক অধিকার ও জলবায়ুর ন্যায্যতা’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকার ১৬ বছরে যে অনিয়ম করেছে, তা এক-দেড় বছরে শোধরানো সম্ভব নয়। মানুষ অনেক কিছু প্রত্যাশা করে, কিন্তু তাদের সব আশা-প্রত্যাশার সমাধান করা এতটা দ্রুত সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটু ভিন্ন রকমের। এখানে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন, তাঁরা দেশের কল্যাণ করতে চাইলেও যাঁরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী, তাঁদের নির্মূল করার চেষ্টা করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু দেশটি একটি রাজনীতিক কর্মকাণ্ডে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছে।
উপদেষ্টা শারমীন বলেন, ‘নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করা একটি টেকসই সমাজের জন্য অপরিহার্য। এ ধরনের প্রকল্প সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে এ ধরনের প্রকল্প চলমান অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকেন। এনজিওগুলোতে অনেক দুর্নীতি দেখা গেছে।