দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া সংসদ সদস্যদের নিজের এলাকা নিয়ে ভাবনাগুলো তুলে ধরছে কালের কণ্ঠ
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসন থেকে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভায় টানা তৃতীয়বার তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজে ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি ও ১৯৯৯ সালে কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন।
২০০০ সালে সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ছাত্ররাজনীতি শেষে ২০০২ সালে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন পলক। ২৮ বছর বয়সে ২০০৮ সালে নাটোর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পলক। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পলক যে ইশতেহার ঘোষণা করেন তাতে সিংড়ার উন্নয়ন, শিক্ষার উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, হাসপাতালের উন্নয়ন ও স্মার্ট সিংড়া বাস্তবায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সরকারি বরাদ্দ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নাটোর জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা সিংড়াকে দুটি উপজেলায় রূপান্তর, সিংড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং কৃষি ও মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা।
এ তিনটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বিষয়ে কালের কণ্ঠকে সংসদ সদস্য জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ, তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন একটি জাতি এবং সে জাতি হবে স্মার্ট জাতি। সেই লক্ষ্যে সিংড়ার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্মার্ট সিংড়া বিনির্মাণে আমি যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, তা নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, সিংড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি নির্মাণে এরই মধ্যে নিজ স্ব স্ব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। সিংড়াকে দুটি উপজেলা করার বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’