<p><em><strong>দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া সংসদ সদস্যদের নিজের এলাকা নিয়ে ভাবনাগুলো তুলে ধরছে কালের কণ্ঠ</strong></em></p> <p>রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী টাঙ্গাইল বিভিন্ন দিক দিয়ে সারা দেশে গুরুত্ব বহন করে। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান ছানোয়ার হোসেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে টানা তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে এবং সর্বশেষ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।</p> <p>ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে একান্তে কথা হয় কালের কণ্ঠ’র। তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চান টাঙ্গাইল সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমরাও সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি। ১৬২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। শহরের সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম কেন্দ্র ‘ভাসানী হল’ আজ পরিত্যক্ত। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে ভাসানী হলটি আধুনিকায়ন করা হবে। সেখানে অডিটরিয়ামসহ শিল্পীদের থাকার সুব্যবস্থা থাকবে। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সেই সাংস্কৃতিক নগরী তৈরির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব।”</p> <p>এমপি আরো বলেন, ‘টাঙ্গাইল শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদী আজ মৃত। দখল আর দূষণে নদীটি অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। নদী দখলমুক্ত ও ড্রেজিং করে পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। সেই সঙ্গে নদীর দুই পার সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে শহরবাসীর হাঁটাচলার সুব্যবস্থা করা হবে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিডিক্লিনের সদস্যরা নদীর বেশ কিছু অংশ পরিষ্কার করেছেন।’</p> <p>ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাঙ্গাইল সদরের একটি বড় অংশ চরাঞ্চল। একসময় টাঙ্গাইল শহর থেকে অবহেলিত চরবাসী প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। বিএনপির আমলে গ্রামীণ উন্নয়ন তেমনটি হয়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে চরে রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মূলস্রোতের সঙ্গে যুক্ত করি। এ ছাড়া চরবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন নদীর বাঁধ। ভাঙনরোধে ২৩ কিলোমিটার বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। নদীকেন্দ্রিক শিল্প গড়ে তুলে চরের মানুষের বেকারত্ব দূরীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। যমুনা নদীর পারের চর হবে স্যাটেলাইট শহর। আমরা সেই স্বপ্ন দেখি। শহরের মানুষের পাশাপাশি চরবাসী সব সুবিধা ভোগ করবে।’</p> <p>টাঙ্গাইল শহরে যানজটের কথা স্বীকার করে এমপি বলেন, ‘সরকারের অনুমোদনহীন অবৈধ ইজি বাইক দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা এর অপব্যবহার ঠেকাতে পৌরসভাকে নির্দেশ দিয়েছি, কিন্তু পৌরসভা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। নগর জালফৈ থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ফোর লেন এবং নাগরপুর বাইপাস রাস্তা চালু হলে শহরের যানজট কমে যাবে।’</p>