<p>সড়ক পাকাকরণের প্রতিবন্ধকতার অজুহাত দেখিয়ে সরকারি টেন্ডার ছাড়াই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের নির্দেশে জয়পুরহাটের দোগাছী ইউনিয়নের একটি গ্রামীণ      ২০-২৫টি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন গাছগুলো ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে স্থানীয়রা বলছে, গাছগুলোর দাম লক্ষাধিক টাকা হবে।</p> <p>উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের রাঘবপুর বাগুয়ান এলাকায় ৩৫০ মিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। পাকাকরণের ওই অংশে ২০ থেকে ২৫টি গাছ ছিল। সড়ক পাকাকরণ কাজের প্রতিবন্ধকতা হবে এমন অজুহাতে ইউপি চেয়ারম্যান গত বুধ ও বৃহস্পতিবার শ্রমিক লাগিয়ে গাছগুলো কেটে নিয়ে বিক্রি করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন বলেন, ‘সড়কটি প্রশস্তকরণে ১৭টি গাছ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় সেগুলো কেটে ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রি করা টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা পরিষদের ফান্ডে জমা আছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘এখন যদি সরকারি প্রসেসে যাই, তাহলে ছয়-সাত মাস সময় লাগবে। এই সময়ের জন্য কি সড়কের কাজ বসিয়ে রাখা সম্ভব?’ জয়পুরহাট সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী মো. সামিন শারার ফুয়াদ বলেন, ‘কাজ করার সময় সড়কের মধ্যে যদি দু-একটি গাছ পড়ে সেগুলো কাট হয়। কিন্তু অনুমতি ছাড়া এ রকমভাবে গাছ কাটা আইনসম্মত নয়।’ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, ‘সড়কের গাছ কেটে সরিয়ে ফেলার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’</p>