বিকেল ৫টা ১০ মিনিট। রাজধানীর রামপুরা সেতু। কোনো গাড়ি একচুলও নড়ছে না। যানজটে আটকে থেকে অনেক চালক গাড়ির ইঞ্জিন পর্যন্ত বন্ধ করে দেন।
যানজটে স্থবির সড়ক, যাত্রীর চাপে বন্ধ মেট্রো রেল
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাইদা বাসের যাত্রী তারেক রহমান বলেন, ‘৩টার দিকে বাসাবো থেকে বাসে উঠেছি। আড়াই ঘণ্টায়ও বাড্ডা পৌঁছতে পারলাম না।
কথা হলে অনাবিল বাসের যাত্রী মো. জুয়েল হাওলাদার বলেন, প্রয়োজনে বাসেই কিছু একটা মুখে দিয়ে ইফতার করে নেব।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিট থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। ইফতারের আগে ঘরে ফেরার তাড়া থাকায় ওই সময়ে মেট্রোর স্টেশনগুলোতে যাত্রীর ঢল ছিল।
ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগ পোহায়।
স্টেশনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে মেট্রো রেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিকের ভাষ্য, কারিগরি ত্রুটি নয়, যাত্রীদের বিশৃঙ্খলার কারণে ট্রেন বন্ধ হয়েছিল।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, সচিবালয় স্টেশনের প্ল্যাটফরম-২-এ উত্তরাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীর ভিড় ছিল। কিছুসংখ্যক যাত্রী ট্রেনে উঠতে প্ল্যাটফরমের দরজা আটকে দাঁড়ায়। তাদের কারণে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছিল না। মেট্রো রেলের ট্রেনের ও প্ল্যাটফরমের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার বন্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা থাকলে বন্ধ হয় না। তিনবারের চেষ্টায় বন্ধ না হলে দরজা খোলা থাকে। দরজা খোলা থাকলে ট্রেন চলে না।
এই পরিস্থিতির জন্য যাত্রীদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন তিনি। কিছু যাত্রী চেষ্টা করেছে অন্যদের দরজা থেকে সরাতে। তারা সরেনি। রমজানের কারণে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ কঠোর হচ্ছে না। রোজার পর এমন বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে গ্রেপ্তার করা হবে; যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সচিবালয় স্টেশনে সমস্যার কারণে বাকি ১৬ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। থেমে থাকা ট্রেনগুলোতে হাজার হাজার যাত্রী ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছে, ১০ থেকে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ট্রেনে বা স্টেশনে আধাঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে।
ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক র্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীর বের হওয়ার জন্য মেশিন ‘জিরো ব্যালান্স’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাঁরা সিঙ্গল ট্রিপের জন্য টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
সম্পর্কিত খবর

জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা
অছাত্রদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবি
- শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম
তদন্ত কমিটি থেকে জবিশিসের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের দুই শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীর ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে অছাত্রদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে দাবিগুলো জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বাঁধন আহমেদ মারুফ বলেন, বিভাগে ছাত্রদল কর্তৃক হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিও কোনো বিবৃতি দেয়নি। শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ছাত্রলীগের আমলেও হয়নি। তাহলে ৫ আগস্টের পর তারা এই সাহস কোথায় পায়?
শিক্ষার্থীদের দাবি তুলে ধরে বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইরফান হোসেন বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
তদন্ত কমিটি থেকে পদত্যাগ : এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের ওপর ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীন পদত্যাগ করেছেন।
শিক্ষক সমিতি ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা হয়নি বলে দাবি করেছে জবি ছাত্রদল। শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল এবং সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন : এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। কমিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটি দ্রুতই কার্যক্রম শেষ করে পদক্ষেপ নেবে।

যশোরে দুই কোটি টাকার ১১ সোনার বারসহ তিনজনকে আটক
যশোর প্রতিনিধি

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ১১টি সোনার বারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে, যাঁদের পাচারকারী বলছে বিজিবি। গতকাল রবিবার ভোরে উপজেলার ধলগাঁ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি। আটক ব্যক্তিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে আতা এলাহি জীবন (৩৫), গাজীপুরের কাশিমপুর থানার পূর্ব বাগবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলী ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৬) এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার রানিহাট গ্রামের সুচিত্র লাল মণ্ডলের ছেলে রাম প্রসাদ মণ্ডল (২৮)। তাঁদের প্যান্টের পকেট ও মানিব্যাগ থেকে এক কেজি ৩১৫ গ্রাম ওজনের ১১টি সোনার বার পাওয়া যায়, যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৯৩০ টাকা বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

২৯ বন্দিকে মুক্তি দিল কারা কর্তৃপক্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক

সাজা মওকুফ করে এক আদেশে ২৯ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার কারা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, কারাগারে আটক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে যাঁদের সাজা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আরো ২৯ জন বন্দিকে সরকারের কারা বিধি ৫৬৯ মোতাবেক ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১(১) এর প্রদত্ত ক্ষমতা বলে অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন কারাগারে থাকা এ নিয়ে এ বছর মোট মুক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১০৭ জনে।

মাহফুজ আলম
বড় শয়তান এখনো কাঁধে শ্বাস ফেলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় শয়তান এখনো কাঁধে শ্বাস ফেলছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাহফুজ আলম তাঁর পোস্টে বলেন, ‘এখনো ঐক্যই দরকার। হঠকারীদের স্পেস দিলে বরং দেশের ক্ষতি হবে।