রাখাইনে চলমান যুদ্ধাবস্থায় টিকতে না পেরে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জনের নাম ও বিস্তারিত তথ্য নিবন্ধনের কাজ শেষ হয়েছে। কে কোন পদমর্যাদায়, কোন ব্যাটালিয়নে কর্মরত সেসব তথ্যও নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি জোন সদর দপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আশ্রয় নেওয়া ১৭৭ জনের মধ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়েছেন।
তাঁদের মধ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত একজন কর্নেলও রয়েছেন। এই তিনজনকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
গত সোমবার বাংলাদেশে বিজিবির জামছড়ি বিওপি এলাকায় আশ্রয় নেন বিজিপি সদস্যরা। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁদের বিজিবির ১১ ব্যাটালিয়ন দপ্তরসংলগ্ন বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, আশ্রয় নেওয়ার পরপরই বিজিপি জওয়ানরা সঙ্গে নিয়ে আসা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বাংলাদেশ সরকারের জিম্মায় হস্তান্তর করে। তাঁদের মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধির মাধ্যমে ওই দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে যোগাযোগ চলছে। তবে ফেরত পাঠাতে আরো সপ্তাহখানেক লেগে যাবে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসে যে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছে, সে সময়ে প্রচলিত আন্তর্জাতিক রীতিনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ না হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ায় এবার আশ্রিতদের ফেরত পাঠাতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগতে পারে।
এদিকে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি রাখাইনে দখল করা বিজিপি ঘাঁটি ও তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদের ছবি প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে অংথবায়ের সীমান্ত চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আরাকান আর্মি। তখন বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।