টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, টেকসই পরিবেশ বিষয়ের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার মাধ্যমে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। গতকাল সোমবার ঢাকায় একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে তাঁরা এ কথা বলেন।
গ্রামীণফোন মিলনায়তনে জলবায়ুর লক্ষ্য পূরণে করপোরেট পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টের (সিপিপিএ) গুরুত্ব তুলে ধরতে ‘গ্রিনিং দ্য গ্রিড’ নামের প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সমন্বয়ক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, নরওয়ের সাবেক এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী এরিক সোলহেইম, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন, টেট্রা টেক-ইউএসএইড-ব্যাজ প্রজেক্টের চিফ অব পার্টি ইডি এলরাহাল, পাওয়ার সেল বাংলাদেশের ডিরেক্টর জেনারেল প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন এবং গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেগ হেনরিকসেন।
আলোচনায় নাহিম রাজ্জাক সিপিপিএ সম্পর্কিত বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনি কাঠামো এবং এই নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নীতিগত পরিবর্তনের দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ২০১৯ সালের তুলনায় কার্বন নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ওই লক্ষ্য অর্জনে এসংক্রান্ত নীতি সংস্কারে সংসদীয় কমিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
হ্যান্স মার্টিন হেগ হেনরিকসেন বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রম থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ এই লক্ষ্য পূরণে সিপিপিএর অপরিহার্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। এই মডেল বাস্তবায়নে বেসরকারি খাত কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় এবং এ ক্ষেত্রে অনুকূল নীতি কিভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়াতে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
নরওয়ের গ্রিড গ্রিনিং অভিজ্ঞতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসর দিকে অগ্রসর হতে বাংলাদেশের জন্য সহায়ক প্রথম সারির আন্তর্জাতিক মডেলগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন এরিক সোলহেইম।
মোহাম্মদ হোসাইন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎসগুলোকে একীভূত করার প্রযুক্তিগত দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি সিপিপিএ বাস্তবায়নে এর ভূমিকা এবং এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলোর ওপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন বাংলাদেশের ‘গ্রিন দ্য গ্রিড’-এর দিকে অগ্রসর হতে আন্তর্জাতিক অংশীদারির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে নরওয়ে প্রস্তুত বলে জানান।