ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
২৭ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ মহররম ১৪৪৭
দাওয়াই

সমস্যা যখন লো প্রেসার

শেয়ার
সমস্যা যখন লো প্রেসার
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

কোনো কারণে শরীর থেকে রক্ত বা পানি বেরিয়ে গেলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব। বিস্তারিত জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ

 

অনেক হাই প্রেসারের রোগীও লো প্রেসারে ভুগতে পারেন। একবার হাই হয়ে গেলে তা আর কমবে না, এমন কোনো কথা নেই।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, লো প্রেসারকে বলা হয় হাইপো টেনশন। চিকিৎসকের মতে, সাধারণ ব্লাড প্রেসার হওয়া উচিত ১২০/৮০। ব্লাড প্রেসার যদি ১১০/৬০-এর নিচে নেমে যায়, তা হলে লো ব্লাড প্রেসার বলে ধরে নিতে হবে। ব্লাড প্রেসার বেশিও যেমন খারাপ, তেমনি কমও খারাপ।

 

উপসর্গ

বেশি লো হয়ে গেলে নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন—

► ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ঝিমঝিম করা, দুর্বল লাগা। হাঁটাচলায় ভারসাম্য রাখতে না পারা।

► আবহাওয়া গরম থাকলেও শরীরে শীত লাগা।

► ব্লাড প্রেসার কমলে দৃষ্টিও ঝাপসা হয়। শরীরের অভ্যন্তরে কম রক্ত চলাচলে এমনটা ঘটে।

► বমি বমি ভাব, অনিয়মিত হৃত্স্পন্দন ও শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে।

► এমনকি মাথায় অক্সিজেনের অভাব হলে জ্ঞান হারানোও বিরল নয়।

এসব উপসর্গ দেখা দিলে ডিজিটাল যন্ত্রে ব্লাড প্রেসার মেপে দেখতে হবে।

 

করণীয়

ব্লাড প্রেসার কমে গেলে স্যালাইন খেতে হবে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতার কারণেও প্রেসার কমতে পারে। ব্লাড প্রেসার ১১০/৬০-এর চেয়ে অনেক কম হলে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনিতে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে পারে না।

তখন বুক ধড়ফড়, অজ্ঞান হওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ব্লাড প্রেসার কমে গেলে রোগীকে লবণ ও চিনির শরবত খাওয়াতে হবে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে পানিতে শুধু লবণ গুলিয়ে খাওয়াতে হবে। রোগীর কানের লতির চারপাশে, ঘাড়ে আর মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। প্রেসার বাড়াতে ডিম আর দুধ খাওয়াতে পারেন। কড়া কফি খাওয়ালেও কাজ হবে। হাইপোটেনশন হলো অন্য রোগের প্রকাশ। যেসব কারণে নিয়মিত বিরতিতে লো প্রেসার  হয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তার কারণ নির্ণয় করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন

শেয়ার
মানববন্ধন
শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন করে তামাকবিরোধী সংগঠন। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগী

শেয়ার
ডেঙ্গু রোগী
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগী বেড়েই চলেছে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি হাসপাতালে। ছবি : কালের কণ্ঠ
মন্তব্য

চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চট্টগ্রামে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌবাহিনী প্রধান

জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নৌ সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কার্যক্রম সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, পরিদর্শনকালে নৌবাহিনী প্রধান এনসিটি-২ জেটি এলাকায় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম, এপ্রেইস পয়েন্টে কনটেইনার এক্সামিন কার্যক্রম এবং সিটিএমএস ভবনে টার্মিনাল অপারেশন সিস্টেম কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ ছাড়া তিনি এনসিটিতে কর্মরত চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কর্মকর্তা ও সদস্যদের এবং বন্দরের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের এমডিসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইএসপিআর আরো জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত সোমবার চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডের কাছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড এনসিটির দায়িত্ব নেওয়ার ফলে বন্দরের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন নৌবাহিনী প্রধান ।

সঠিকভাবে বন্দর পরিচালনার মাধ্যমে দ্রুত পণ্য ওঠানামা ও পরিবহন নিশ্চিত করা হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া গতিশীল হবে, যা দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে তা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে, যা জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সবাই আশা ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবি ক্লাবে ‘ফ্যাসিবাদী’ আওয়ামী শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে আওয়ামী লীগপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাবি ক্লাব প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালাও একসাথে, সাদা-নীল ভাগাভাগি, এই ক্যাম্পাসে হবে না, ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান, আওয়ামী লীগের চামচারা, হুঁশিয়ার সাবধান, গণহত্যার মদদদাতারা, হুঁশিয়ার সাবধান, ঢাবি ক্লাবে হবে না, দালালদের ঠিকানা ইত্যাদি স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এর সঙ্গে সাদা দলের শিক্ষকরাও জড়িত। তাঁরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ঢাবি ক্লাব কমিটি বাতিল করে ক্লাব থেকে ফ্যাসিবাদী দোসরদের উত্খাতের দাবি জানান।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ বি জুবায়ের বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর না পেরোতেই ঢাবি ক্লাবে খুনি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ঢাবি ক্লাবের ১৫ সদস্যের কমিটির সাতজনই নীল দলের সদস্য, যা সাদা দলের শিক্ষকদের জন্য লজ্জাজনক।

যারা খুনি হাসিনাকে বিভিন্ন ন্যারেটিভ তৈরি করে ফ্যাসিবাদী হতে সাহায্য করেছে, তাদের সাদা দল পুনর্বাসন করে জুলাইয়ের আহত ও শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর পেছনে কী স্বার্থ জড়িত, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাই আমরা।

অন্য শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রলীগের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের বৈধতা দিয়েছিলেন নীল দলের শিক্ষকরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরও নীল দলের শিক্ষকরা ঢাবি ক্লাবে বিপ্লব বেহাত করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

এখন সাদা দলের মদদে এসব ফ্যাসিবাদী শিক্ষককে ঢাবি ক্লাবের কমিটিতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ