মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কালজয়ী নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কবর’ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নাটকটি মঞ্চস্থ করে কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ। নাটকটি ইতিহাসের সত্য তুলে ধরে। এতে ফুটে ওঠে বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির প্রতিচ্ছবি।
মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’ নাটক মঞ্চস্থ
ফুটে উঠল বায়ান্নর প্রতিচ্ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন বিভাগটির শিক্ষক মো. মোস্তফা আমীন ও শংকর কুমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও নাট্যকার বৃন্দাবন দাস ও ফজলুর রহমান বাবু এবং অভিনেতা দিব্যজ্যোতি।
বক্তব্যে বৃন্দাবন দাস বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর এক অনন্য সৃষ্টি ‘কবর’ নাটক। ওই সময়ে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীর দিকে সরাসরি আঙুল তুলে এমন একটি নাটক লেখাটা সত্যিই দুঃসাহসী কাজ। এক অনবদ্য নিদর্শন।
ফজলুর রহমান বাবু বলেন, নাটক যে কত বড় প্রতিবাদের মাধ্যম হতে পারে সেটা মুনীর চৌধুরী ‘কবর’ নাটকে দেখিয়েছেন। সাহসী ভঙ্গিতে এভাবে প্রতিবাদ করতে পারতেন বলেই মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক আগমুহূর্তে মুনীর চৌধুরীকে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। ‘কবর’ নাটকের জন্য মুনীর চৌধুরী বিখ্যাত হলেও তাঁর কোনো কবর নেই।
নাটকটিতে দেখা যায়, এক মদ্যপ নেতা ও চাটুকার পুলিশ ভাষা আন্দোলনে শহীদদের মরদেহ গুম করতে এসেছে। সেখানে উপস্থিত হয় একজন মুর্দা ফকির। কিন্তু মরদেহগুলো সব উঠে দাঁড়ায়। তারা কবরে যেতে চায় না। মুর্দা ফকির, নেতা, হাফিজ আর মরদেহের সংলাপের মধ্য দিয়ে মুনীর চৌধুরী তুলে আনেন এক চিরন্তন সত্য। যারা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে তারাই আসলে মৃত। কিন্তু যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলে লড়াই করে, তাদের কবরে আটকে রাখা যায় না। তারা অমর।
নাটকের শেষ দিকে দেখা যায়, ভাষাশহীদরা জেগে উঠে প্রতিবাদ করছেন। হাফিজের কথার প্রতিবাদে তাঁরা বলেন, ‘মিথ্যে কথা। আমরা মরিনি। আমরা মরতে চাইনি। আমরা মরব না।...কবরে যাব না।’ এই নাটকের মধ্য দিয়ে বাঙালির দীর্ঘ সংগ্রামে ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য জনতার সামনে স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।