গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্রাম্য সালিসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিপক্ষ বসতঘরে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করার সময় শিশুটি মাথায় আঘাত পায়। গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম ফাতেহা খাতুন। সে ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
শিশুটির চাচা হোসেন আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী লাল মিয়ার সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁদের বিরোধ চলছিল। কয়েক দিন আগে লাল মিয়া তাঁদের বিরুদ্ধে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দেন। পরে চেয়ারম্যান তিনজন ইউপি সদস্যকে বিরোধ মীমাংসার দায়িত্ব দেন।
প্রতিবেশীরা জানায়, আব্দুস সাত্তারের বাড়ির পাশে বসা সালিসে কাগজ (পরচা) দেখার সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আব্দুস সাত্তার ছুটে গিয়ে তাঁর বসতঘরে আশ্রয় নেন। প্রতিপক্ষ ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করে। স্বামীকে বাঁচাতে তাঁর স্ত্রী কুলসুম বেগম দুই বছর বয়সী শিশুটিকে কোলে নিয়ে এগিয়ে গেলে তাঁকেও মারধর শুরু করে।
ওই সময় আঘাতে শিশুটির মাথায় জখম হয়।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুস সামাদ জানান, সালিস বসার ১৫ মিনিটের মধ্যেই দুই পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
শ্রীপুর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’