প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১টার দিকে তাঁরা বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লক থেকে কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পান। এরপর তাঁরা রিডিংরুম থেকে বের হয়ে ফিরোজকে পড়ে থাকতে দেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত দেড়টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফিরোজের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন। রুমে কারো সঙ্গেই কোনো কিছু খুব একটা শেয়ার করতেন না।

তাঁরা আরো জানান, ঘটনার দিন রাতে ফিরোজ তাঁর ২০৩ নম্বর কক্ষে এসে সবার কাছে জানতে চান যে কেউ তাঁর কাছে টাকা পাবে কি না। এরপর তিনি অনেকক্ষণ পড়ার টেবিলে বসে ছিলেন। পরে একাত্তর হলে তাঁর কাজ আছে বলে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ টেবিলে রেখে বের হয়ে যান।

খাতায় যা লেখা

ফিরোজের হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, টেবিলে অর্ধখোলা একটি খাতায় লেখা, ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই।

পৃষ্ঠার বাকি অর্ধেকে লেখা, ‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইল মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড ৮..., আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’ এর নিচে লেখা, ‘ফিরোজ। রাত ১১টা ৫।’

ভাই বলছেন পরিকল্পিত হত্যা

ফিরোজের বন্ধুরা জানিয়েছেন, লেখা দুটি ফিরোজের হাতের লেখার মতোই তাঁদের মনে হচ্ছে। তবে ফিরোজের বড় ভাই ফেরদাউস কাজী জানিয়েছেন, খাতার লেখা ফিরোজের হাতের লেখা নয়। তিনি বলেন, তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে ঘটনাটি বেরিয়ে আসবে।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এটি আত্মহত্যা কি না এখনই বলা যাচ্ছে না। একাত্তর হল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে ফিরোজের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

অন্যদিকে বিরোধী দল বলে, সরকারের কঠোরতাই পারে পরিবেশদূষণ রোধ করতে। বিভিন্ন আইন-কানুন প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব। বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারীদের  সনদ ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

টাঙ্গাইল : বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে  সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শহরের বাগানবাড়ি পানির ট্যাংকি বাজারে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগানবাড়ি সমাজপতি আতোয়ার রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেবুব ইসলাম রুমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন ও প্রচার সম্পাদক সুজন মিয়া।

ডা. মো. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড এ নির্বাচন পরিচালনা করে।

সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গত সাত মেয়াদে সমঝোতার ভিত্তিতে সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এবার নির্বাচন হওয়ায় প্রায় দেড় দশক পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায় বিপিএমসিএর সাধারণ ভোটাররা।

বিপিএমসিএর নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক।

সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিত। তিনি সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।

বক্তব্যে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মব কালচার উসকে দিচ্ছে। তারা ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সংস্কারের নামে কিছু এনজিওকর্মী এখন গণতন্ত্রপন্থী ছাত্ররাজনীতির ভেতরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, ‘একটি গুপ্ত সংগঠন দেশে চক্রান্ত করে চলেছে। আমরা এ অবস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কক্সবাজারের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছি।’

এ ছাড়া বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ও গাড়িবহরে দফায় দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।