বাংলাদেশ পাঁচ বছরের কম বয়সী খর্বাকৃতির শিশুদের অনুপাত ৪০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে রয়েছে। ২০২৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের লক্ষ্যমাত্রা এটি। তবে এই অগ্রগতি ধরে রাখার জন্য কিশোরী ও মায়েদের পর্যাপ্ত পুষ্টি পরিষেবা নিশ্চিত করা আবশ্যক।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত মা ও কিশোরীদের পুষ্টিবিষয়ক একটি জাতীয় সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, অপর্যাপ্ত পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ দুর্বল করে দিতে এবং গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালীন ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই সরকার দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মেয়ে ও নারীদের পুষ্টির অবস্থা উন্নত করার অঙ্গীকার করেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা বর্তমানে পঞ্চম স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত কর্মসূচি তৈরি করছি, যা ২০২৪ সাল থেকে শুরু হবে। আমরা স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য বিনিয়োগ বাড়াব এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টিবিষয়ক চলমান উদ্যোগগুলোকে জোরদার করার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ দেব।
’
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, মা এবং অল্প বয়সী মেয়েদের জন্য সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার পেছনে বিনিয়োগের অনেক অর্থনৈতিক সুফলও রয়েছে এবং তা বিভিন্ন সময়ে প্রমাণিত। আজ এ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করলে তা আগামী কয়েক দশক ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উৎপাদনশীলতা ও সার্বিক কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে অপর্যাপ্ত পুষ্টির সঙ্গে জড়িত হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা, যা আগামী প্রজন্মের জন্য জীবনভর দুঃখকষ্ট ও দারিদ্র্যের কারণ হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
এই অগ্রগতি বজায় রাখতে যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য মাতৃত্বকালীন ও বয়ঃসন্ধিকালীন পুষ্টি পরিষেবার ঘাটতিগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।