ঢাকা থেকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠান করতে এসে দুই নৃত্যশিল্পী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার রাতে সাগরপারের রাস্তা থেকে তরুণীদের তুলে নিয়ে একটি কটেজে ধর্ষণ করেন তিন যুবক।
গতকাল বুধবার এক তরুণী মামলা করার পর পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে দুই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মামলার এক নম্বর আসামি সোলেমান শামীম (২৩) নামের একজন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ার বাসিন্দা। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন হারবদল ও রশিদ। অভিযুক্ত তিনজনই সাগরপারের পর্যটন এলাকায় যৌনকর্মী সরবরাহ ও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এজাহারের তথ্য উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো রফিকুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে একটি বিনোদন অনুষ্ঠান আয়োজকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ঢাকা থেকে এসেছিল চার তরুণীসহ পাঁচজনের একটি দল। গত রবিবার সকালে তারা কক্সবাজার পৌঁছে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। হোটেলকক্ষ থেকে সোমবার রাত ১১টার দিকে দুই বান্ধবী বের হয়ে হেঁটে গিয়ে সুগন্ধা সড়কের পাশে খাবার খান। সেখান থেকে হোটেলে ফেরার সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে পাঁচ যুবক এসে তাঁদের গতিরোধ করেন।
তাঁরা দুই তরুণীর হাত, মুখ চেপে অস্ত্রের মুখে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান অন্য একটি কটেজে। সেখানে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। যাতে কোনো মামলা করতে না পারেন সে জন্য মঙ্গলবার সকালে দুই তরুণীকে জোর করে ঢাকামুখী একটি বাসে তুলে দেন অভিযুক্তরা।
ওসি আরো জানান, বাসে ওঠার পর এক তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামু বাইপাস এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে লোকজন তাঁকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক নোবেল বড়ুয়া গতরাতে কালের কণ্ঠকে জানান, তরুণী হাসপাতালে এসে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা বললে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ওই তরুণীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি মাথা ও শরীরে রক্তাক্ত হওয়ার আলামত ছিল।