কিশোরগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় মেঝে ও বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। জেলার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। বর্তমানে এখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত অর্ধশতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল
সিবিসি পরীক্ষার যন্ত্র নষ্ট স্যালাইনেও ঘাটতি
- ► চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীরা ► হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা
শফিক আদনান, কিশোরগঞ্জ

গত মঙ্গলবার সকালে এই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। এখানে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৯টি শয্যা দিয়ে একটি আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। কিন্তু রোগী বেশি থাকায় সবাই শয্যা পায়নি।
একটি বেসরকারি কম্পানিতে কাজ করেন মাহফুজ আহমেদ তীব্র (২৮)। সদর উপজেলার চৌদ্দশত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ছয় দিন ধরে ডেঙ্গুতে ভুগছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের হুমায়ুন মিয়া (৩২)। তিনি জানান, ১৫ হাজার টাকা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এখন তাঁর হাতে আছে মাত্র ৫০০ টাকা। টাকা পাঠানোর জন্য বাড়িতে ফোন করেছেন। টাকা এলে ফের সিবিসি পরীক্ষা করাবেন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত কটিয়াদীর ধূলদিয়া গ্রামের গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি দরজির কাজ করি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা, স্যালাইন ও ফলমূল কিনতে প্রতিদিন খরচ হচ্ছে দুই হাজার টাকার মতো। আমি গরিব মানুষ। ডেঙ্গুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছি। আর কয়দিন থাকতে হয় কে জানে?’
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জেলার হোসেনপুর উপজেলার ধূলজরি গ্রামের আব্দুল করিম (৬৫), কুলিয়ারচরের রামদি গ্রামের পাপন আহমেদ (১৯), কটিয়াদীর গচিহাটার সাহাবুদ্দিন (৬৫), নিকলীর দৌলতপুরের মোস্তাকিম (২৩), সদর উপজেলার বৌলাই গ্রামের ইয়াসিনসহ (২০) অন্তত ২০ জনের সঙ্গে কথা হলে সবাই একই অভিজ্ঞতার কথা জানান। আক্ষেপ করে তাঁরা বলেন, বিশাল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন—এই যা। সুযোগ-সুবিধা বলতে কিছুই নেই। সব কিছুই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে তাঁদের। ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ করে বাইরের ক্লিনিক থেকে সিবিসি পরীক্ষাটি করাতে হচ্ছে তাঁদের।
এসব বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘অতিরিক্ত চাপের কারণে সিবিসি পরীক্ষার মেশিনটি কাজ করছে না। এটি মেরামতের চেষ্টা চলছে। আর স্যালাইনের যে সংকট তা দু-তিন দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ৭৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। নানা সমস্যার মধ্যেও এটি আমাদের সাফল্য বলে মনে করি।’
সম্পর্কিত খবর

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ


যাত্রাবাড়ী ও রমনায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১২ বছরের শিশু এবং রমনায় একটি বাসা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে অপর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ও ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছেলেশিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।

চাঁদা না পেয়ে হামলা আরো ৫ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে এ কে বিল্ডার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মারধর ও গুলির ঘটনায় আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁরা হলেন মো. আব্বাস, মো. ইয়ামিন, মো. সোহেল, মো. মাজহারুল ও মো. চাঁদ মিয়া।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস) কে এন রায় নিয়তি এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, এর আগে গত রবিবার এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর বিবরণে বলা হয়, গত ১১ জুলাই পল্লবীর আলব্দির টেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে একদল লোক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি করে।

সংক্ষিপ্ত
ওয়ারীতে হামলার শিকার শিক্ষার্থী, গ্রেপ্তার ২
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ওয়ারী থানায় হামলার শিকার হয়েছে সৈয়দ রেদোয়ান মাওলা (১৭) নামের এক শিক্ষার্থী। পরে এলাকাবাসী হামলাকারীদের মধ্যে আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুল (১৯) নামের দুই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
রবিবার রাত ৯টার দিকে হাটখোলা রোডে ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে এ ঘটনা ঘটে। ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, হামলাকারী ও ভুক্তভোগী সবাই শিক্ষার্থী।