<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, ‘সরকার অনেক আগে থেকেই প্রকল্প তৈরির সময় জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এখন থেকে প্রকল্প তৈরির সময় এই বিষয়গুলোকে আরো গুরুত্ব দেওয়া হবে। নারী ও পুরুষের জন্য ৫০:৫০ (পঞ্চাশ শতাংশ করে) বরাদ্দ দিলেই ন্যায্যতা আসবে তা বলা যায় না। নারী পুরুষের চাহিদার ক্ষেত্র ভিন্ন—এ বিষয় নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। পাশাপাশি জেন্ডার বাজেট মনিটরিং প্রতিবেদন ও জনচাহিদা তৈরির ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জেন্ডার বাজেট মনিটরিং’ বিষয়ক গবেষণা ফলাফল প্রকাশনা অনুুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি আমাদের উন্নয়নে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত সূচক, যা দ্রুত কমিয়ে আনতে হবে। আগামীতে জেন্ডার সংবেদনশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প তৈরি করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’ তিনি বলেন, জেন্ডার বাজেট প্রণয়নে ইতিবাচক সাড়া আসার পরিপ্রেক্ষিতে ৪৪টি মন্ত্রণালয়ে এখন জেন্ডার বাজেট করছে। এই বাজেটে নারীর জন্য বরাদ্দ ২৫ থেকে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রকৃত উন্নয়ন আনছে কি না তা দেখতে হবে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘নারীর অগ্রগতির সূচকে আমাদের স্থায়িত্ব নেই। আমরা নানা কর্মসূচি নিচ্ছি কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জোর দিতে হবে। নারীর জন্য পলিসি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য পলিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সামগ্রিক দিক বিবেচনায় নিতে হবে। আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নারীর সমতার ইস্যুকে সম্পৃক্ত করা না হলে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না, আমাদের অর্জনকে ধরে রাখা যাবে না।’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে হবে, এর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। এ ছাড়া বাজেট মনিটরিংয়ের সময় কিছু সুনির্দিষ্ট কাজকে বিবেচনায় রেখে যেমন : জেলা-উপজেলায় ডে-কেয়ার সেন্টারের নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা ও বরাদ্দ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘জেন্ডার বাজেটে নারী ও শিশুকে এখনো আমরা আলাদা করতে পারিনি। নারীর সঙ্গে শিশুকে যুক্ত করে দেখার মানসিকতা থেকে আমরা এখনো বের হতে পারিনি। জেন্ডার বাজেট বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকেও আরো দায়িত্ব নিতে হবে।’ </span></span></span></span></p>