চলতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তিযুদ্ধ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে তৎপরতা দৃশ্যমান হয়েছে। ভবিষ্যতে অল্প কয়েকটি কলেজে ভর্তির জন্য তুমুল প্রতিযোগিতা কমিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মানের ব্যবধান কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আজ সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য কারিগরি ও মাদরাসা স্তরের প্রতিষ্ঠানসহ কলেজ রয়েছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো।
এতে আসনসংখ্যা ৩৩ লাখের বেশি। অর্থাৎ ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন প্রায় দ্বিগুণ।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের পছন্দের কলেজ সংখ্যা ১০টির বেশি না। এ ছাড়াও জিপিএ ৪-এর বেশি পাওয়া শিক্ষার্থীরা কলেজ পছন্দের তালিকায় ভালো কলেজগুলোর নাম দিয়ে থাকে।
মোট ২০ কলেজে জিপিএ ৫ ও জিপিএ ৪ পাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতা করে থাকে। প্রতিবছর অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ভর্তিপ্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে।
ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা কমানো প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে এসব প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষক ও পাঠদান নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনুমোদন প্রক্রিয়া কঠিন করা হয়েছে।
গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য থাকবে কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা। এ ছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর একটি নির্দিষ্ট মানের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। তখন আর ভালো কলেজ বলতে আলাদা কিছু থাকবে না। বন্ধ হবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি যুদ্ধ।’
তিনি জানান, এবার কলেজে ভর্তিতে প্রথম ধাপের আবেদনের সময় ১০ আগস্ট নির্ধারণ করে খসড়া নীতিমালা হয়েছে।
এটি অনুযায়ী আগামী ১ অক্টোরব পাঠদান শুরুর কথা। আজ শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠকে খসড়াটি চূড়ান্ত হতে পারে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। এ ছাড়াও জিপিএ ৪-এর বেশি পেয়েছে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৫৮১ জন। অর্থাৎ ভালো ফলাফল করা মোট সাত লাখ ছয় হাজার ১৫৯ জন পরীক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য লড়াই করবে।