ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭
নদীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

দেশ নদীমাতৃক হলেও মানসিকতা ভূমিকেন্দ্রিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশ নদীমাতৃক হলেও মানসিকতা ভূমিকেন্দ্রিক

নদী মরে গেলে সভ্যতা মরে যাবে। তাই পরিকল্পিত উপায়ে নদী ও নদীর সম্পদকে ব্যবহার করতে হবে। আর এ জন্য নদীসংক্রান্ত কোনো নীতি প্রণয়ন বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি জনগণের কাছ থেকে তথ্য নিতে হবে, যারা সরাসরি নদীর সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে আন্ত সীমান্ত নদী নিয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষির ক্ষেত্রে পানি ছাড়াও জীববৈচিত্র্য, শক্তিসহ অন্যান্য জিনিস নিয়েও কথা বলা উচিত।

যেহেতু এখানে ভূ-রাজনীতি জড়িত, তাই এ বিষয়ে কূটনীতিক ও সরকারকে কৌশলী ভূমিকা নিতে হবে। তবে বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হলেও বর্তমানে এখানকার মানুষের মানসিকতা ও উন্নয়ননীতি এখন ভূমিকেন্দ্রিক হয়ে গেছে।

গতকাল রবিবার রাজধানীর বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএসইউ) আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার নদী : বাস্তুতন্ত্র, মানুষ ও শাসনের সংযোগ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে আলোচকরা এসব কথা বলেন। এনএসইউয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি), ব্রুনেই দারুসসালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দুই দিনব্যাপী সম্মেলনটির আয়োজন করে।

 

গতকাল সম্মেলনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা বা বাংলাদেশ এই শতাব্দীর একমাত্র দেশ, যারা ১০০ বছরের পরিকল্পনা করেছে প্রাকৃতিক সম্পদ, পানিসম্পদ ও নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে। এটির নাম ডেল্টা প্ল্যান ২১০০। এখানে দেশকে ছয়টি হটস্পটে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে নদী এলাকা একটি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী মরে গেলে আমাদের সভ্যতা মরে যাবে। অনেক এলাকায় নদী মরে যাচ্ছে। এ জন্য প্রতিবছর নদীগুলোর ড্রেজিং দরকার।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই আমাদের মানসিকতা ভূমিকেন্দ্রিক। যদিও আমরা আমাদের দেশকে নদীমাতৃক দেশ বলি।

কিন্তু নদীমাতৃক দেশ আর নেই এখানে। যদি আমরা আমাদের শহর ও ইঞ্জিনিয়ারিং দেখি তাহলে দেখব এটা ভূমিকেন্দ্রিক। এটা একটা গুরুতর বিষয়।’

ইমতিয়াজ আহমেদ আরো বলেন, ‘নদীর চারটি জিনিস থাকে—পানি, শক্তি, জীববৈচিত্র্য ও পলি। এই চারটি জিনিস ছাড়া একটি নদীকে নদী বলা যাবে না। যখন আন্ত সীমান্ত নদী নিয়ে আলোচনা ও দর-কষাকষির বিষয়টি আসে তখন আমরা শুধু পানি ভাগাভাগির কথা বলি। আমরা কখনো শক্তি, জীববৈচিত্র্যসহ অন্য জিনিসগুলোর কথা বলি না।’

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও এসআইপিজির ফেলো অধ্যাপক মো. শহীদুল হক আন্ত সীমান্ত নদী ও পানির বিষয়ের সঙ্গে ভূ-রাজনীতি জড়িত উল্লেখ করে বলেন, ‘ভূ-রাজনীতি কোনো নেতিবাচক শব্দ নয়। আজকাল একে অনেকেই নেতিবাচক শব্দ মনে করে। এটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক শব্দ নয়, এটি একটি খেলা। এটি (ফলাফল) নির্ভর করে কে কত ভালো খেলোয়াড় এ বিষয়ে।’

শহীদুল হক আরো বলেন, নদীর ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক শুধু ভ্যালুজের ওপর নির্ভরশীল নয়, স্বার্থের ওপরও।

অ্যাকশনএইডের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, নদীতে পানির স্বল্পতা অথবা পানি বেড়ে প্লাবিত হলে প্রকৌশলগত সমাধান নিয়ে আসার একটা প্রবণতা আছে। এটা অঞ্চলগুলোর জন্য কাজে লাগে না। বরং কখনো অত্যন্ত সমস্যাজনক হয়ে দাঁড়ায়। এখানে নদী ও তার চলনকে না বোঝার একটা সহজাত সমস্যা আছে। 

ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা নীতি বা পলিসি নিয়ে কথা বলছি, কিন্তু পলিসির ভিত্তি হলো তথ্য। সরকার বা কূটনীতিকদের কাছে থাকা এসব তথ্য কোথা থেকে আসে? এগুলো কি সরাসরি জনগণের কাছ থেকে আসে নাকি আমলা বা অন্য কোনো উৎস থেকে আসে? আমাদের অবশ্যই সরাসরি জনগণের কাছ থেকে তথ্য নিতে হবে, যারা সরাসরি নদীর তীরে বা নদীর কাছাকাছি বসবাস করে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মা বললেন ‘ও বাবা, আমার রায়েশা কই’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মা বললেন ‘ও বাবা, আমার রায়েশা কই’

বিকেল ৩টা। চারদিকে হৈচৈ। একটির পর একটি অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকছে আর বের হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ছাড়া কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঠিক সে সময় সন্তানের খোঁজে এক মা দৌড়ে স্কুলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। আর্মির ব্যারিকেডে তিনি আর সামনে আগাতে পারেননি। থেমে গিয়ে মা রাইমা হোসেন ওই সৈনিককে জিজ্ঞেস করেন, ও বাবা, আমার রায়েশা কই? গতকাল মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার পর সরেজমিনে এই চিত্র দেখা যায়। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়েশা আলমকে খুঁজতে তার মা রাইমা হোসেন স্কুলের গেটের সামনে আসেন।
পরে শিক্ষার্থীরাই তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়।

 

মন্তব্য

দুর্ঘটনার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুর্ঘটনার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের এ খবর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের খবর জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এতে ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। 

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি ঢাকায় স্কুলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৬ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি স্কুল ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ১৯, আহত হয়েছে শতাধিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বহরে থাকা চীনের তৈরি একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ মহড়া চলাকালে বিধ্বস্ত হয়েছে।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার বলেছে, বাংলাদেশে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ঢাকার একটি কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

এ ছাড়া মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে এক্সপ্রেস, ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে বাংলাদেশের এই বিমান বিধ্বস্তের খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

মন্তব্য
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর অভিমত

৭ শিশুর পরিচয় শনাক্তে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
৭ শিশুর পরিচয় শনাক্তে লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, যে ১৭ জন নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছেন, তারা সবাই শিশু। এর মধ্যে সাতজনের লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে।

তবে সর্বশেষ তথ্যে জানানো হয়েছে মোট ২০ জন প্রাণ হারিয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। সায়েদুর রহমান বলেন, তাঁদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ সময় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেন, আজ তাদের রক্তের প্রয়োজন নেই। আগামীকাল (মঙ্গলবার) রক্তের প্রয়োজন হবে। তাই আজ আর কারো কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে না।

নাসির উদ্দীন বলেন, ইনফেকশন (সংক্রমণ) হলে মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে পারে।

তাই হাসপাতালে বহিরাগতদের প্রবেশ না করার অনুরোধ জানান তিনি। সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা এলেও রোগীদের কাছে যাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।

 

মন্তব্য
মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত

২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে চিরবিদায় নিলেন শিক্ষিকা মেহরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে চিরবিদায় নিলেন শিক্ষিকা মেহরিন
মেহরিন চৌধুরী

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ এখন দেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করছে। প্রাণপণ চেষ্টা করে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে মৃত্যুর মুখ থেকে রক্ষা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর নিজের। তাঁর ভাই মানাফ এম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত এবং শতাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তাঁদের বেশির ভাগই ছুটে গেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

৪৬ বছর বয়সী মেহরিন চৌধুরী শতভাগ দগ্ধ অবস্থায় ওই ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি, তাঁর মৃত্যুর খবর সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ক্লাসরুম থেকে শিক্ষার্থীদের দ্রুত সরিয়ে ফেলেন মেহরিন। তাদের নিরাপদে বের করে দিতে গিয়ে নিজে আর সময়মতো বের হতে পারেননি। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া এক সেনা সদস্য বলেন, ম্যাডাম ভেতরে ঢুকে গিয়ে বাচ্চাগুলারে বের করে দিছেন, তারপর উনিই বের হতে পারেননি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষিকা মেহরিনের সাহসিকতায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

মানবিকতা, সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে রইলেন মেহরিন চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচিয়ে নিজে হারিয়ে গেলেন। একজন শিক্ষিকার এমন আত্মত্যাগ কোনোভাবেই ভোলার নয়।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ