বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ। দিবসটি সামনে রেখে অবিলম্বে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তাগিদ উঠেছে। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটি দাবি জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা কোনো শর্ত ছাড়াই যেমন প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল, তেমনি শর্ত ছাড়াই তাদের এ দেশ ত্যাগ করতে হবে।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান গতকাল বলেন, ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রত্যাশা হচ্ছে শিগগিরই বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
আমাদের দেশ এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ১১ লক্ষাধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার চাপ সহ্য করতে পারছে না। তাই আমরা আশা করব, এবারের শরণার্থী দিবসের পর যথারীতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ দ্রুত শুরু হবে।’
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ নূর (৪১)। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মণ্ডু শহরের উত্তরে লুধাইং গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নূর আজ বাংলাদেশে ১৫তম বিশ্ব শরণার্থী দিবস উদযাপন করছেন।
তিনি নিজ দেশে ফিরতে চান।
মোহাম্মদ নূর ১৫ বছর আগে দেশ ত্যাগ করে এসে আশ্রয় নেন কুতুপালং শিবিরে। শিবিরে এসে রোহিঙ্গা কমিউনিটির জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেক দুঃখ-কষ্ট বুকে ধারণ করে এখন দেশে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু বারবার নানা বাধা-বিপত্তি তাদের পিছু ছাড়ছে না।
কমিউনিটির নেতৃত্ব দিতে গিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের হুমকির মুখে এখন ছয় সদস্য নিয়ে ক্যাম্প ছাড়া। বছর দেড়েক ধরে তিনি ক্যাম্পের বাইরে ভাড়া বাসায় এক রকম বন্দি জীবন যাপন করছেন।
একইভাবে টেকনাফের উনচিপ্রাং-২২ নম্বর আশ্রয় ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা (মাঝি) বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পের পাঁচজন মাঝি আল-ইয়াকিন (আরসা) সন্ত্রাসী দল কর্তৃক অপহৃত হয়েছিলাম। দুই দিন দুই রাত অবর্ণনীয় নির্যাতন সইতে হয়েছে আমাদের। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংস্থার সদস্যদের সহযোগিতায় মৃত্যুর দরজা থেকে জান নিয়ে ফিরে এসেছি।
’