উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাসদকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটির প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে মোটরগাড়ি (কার)।
বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সোমবার সকালে তাঁরা ইসির কাছ থেকে এসংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন।
২০১৬ সালে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে জাসদ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।
সে সময় জাসদ ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাজাসদ) গঠন করেন শরীফ নূরুল আম্বিয়া। তিনি দলটির সভাপতি। পরে একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর হাসানুল হক ইনুর জাসদের অনুকূলে মশাল প্রতীক বরাদ্দে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে শরীফ নূরুল আম্বিয়া হাইকোর্টে রিট করেন। কিন্তু হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে দেন।
বাংলাদেশ জাসদ নিবন্ধন পাওয়ার আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পায় প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দল তৃণমূল বিএনপি। এরপর গত ৮ মে নিবন্ধন দেওয়া হয় ইনসানিয়াত বাংলাদেশ নামের একটি দলকে।
বাংলাদেশ জাসদসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২।
অপেক্ষায় আরো ১২টি দল : নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করা নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে ১২টি দল।
প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে এসব দলের কাগজপত্র সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। এরপর দলগুলো থেকে দেওয়া তথ্য অনুসারে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক দলীয় কার্যালয় ও ভোটার সদস্য রয়েছে কি না তা যাচাই করছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা দলগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরো কিছুদিন সময় প্রয়োজন।
দলগুলো হচ্ছে এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
এসব দলের মধ্যে চারটি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ ও এবি পার্টি বেশি আলোচনায় রয়েছে।
বিএনএম গঠন করেছেন বিএনপির কয়েকজন সাবেক নেতা। নাগরিক ঐক্যের নেতৃত্বে রয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না। গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। এবি পার্টির নেতাদের বড় অংশই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা।