ভবিষ্যতে হজযাত্রী পাঠানো দেশগুলোর এজেন্সির সংখ্যা কমাতে চায় সৌদি আরব। গত বুধবার মক্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে বৈঠকে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্দুল ফাত্তাহ সুলাইমান মাশাত এই ইঙ্গিত দেন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সৌদি উপমন্ত্রী ভবিষ্যতে হজ ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করার জন্য সৌদি সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হজযাত্রী পাঠানো দেশগুলোর হজ এজেন্সির সংখ্যা সীমিত হলে হজ ব্যবস্থাপনা আরো সহজ এবং হাজিদের দুর্ভোগ কমানো সম্ভব হবে।
তিনি এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী তা বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করা হবে বলে জানান।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বিমানের আরো ১০টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসংক্রান্ত অনুরোধ করেছেন সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রীকে। উপমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হজের সুব্যবস্থাপনার জন্য সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এ বছর ঢাকা থেকে সব হাজি ‘মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর আওতায় হজযাত্রার শুরুতেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করায় তাঁদের হজযাত্রা সহজ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। হজযাত্রীদের জন্য দ্রুত ভিসা ইস্যু করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ পবিত্র হজ পালন করবেন।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়া হজযাত্রীদের জন্য সুন্দরভাবে হজ পালনের ব্যবস্থাপনা করা রাজকীয় সৌদি সরকারের জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।
রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ এশিয়ার হাজিদের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ‘আল বাইত গেস্টস’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট উসামা দানেশের সঙ্গে মক্কায় তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি মিনা, আরাফার ময়দান ও মুজদালিফায় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও কাজের অগ্রগতির খোঁজখবর নেন। অগ্রগতি পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রদূত আল বাইত গেস্টসের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বৈঠকগুলোতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।