গণরুম বিলুপ্তিসহ তিন দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থী প্রত্যয়ের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আক্তার, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া, ছাত্রী নিপীড়ন ও হামলাকারীর প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং উপাচার্যকে বাদী হয়ে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা, প্রক্টর এবং প্রভোস্টকে অব্যাহতি দেওয়া, গণরুমকে গেস্টরুম সংস্কৃতির অবসান এবং প্রথম বর্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের সিটের ব্যবস্থা করা।
নতুন প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে পাঁচ দফা দাবির ব্যাপারে প্রশাসন সাত দিন সময় চায়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা দাবি জানায় এক ঘণ্টার ভেতর চিহ্নিত দুষ্কৃতকারীদের সাময়িক বহিষ্কার এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে পাঁচ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। পরে বাগবিতণ্ডায় বৈঠক ব্যর্থ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি মানতে সদিচ্ছার প্রকাশ ঘটাচ্ছে না।
এই কারণে আমরা নতুন কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হচ্ছি।’
এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের রক্তচাপ কমে গেছে। পানিশূন্যতায়ও ভুগছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র কুমার বিশ্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনশনরত শিক্ষার্থীর রক্তচাপ ৯০/৭৫ পর্যায়ে আছে।
তাঁর ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) আছে। এখন স্যালাইন নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে খিঁচুনি, বমি ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।’
তবে দাবি পূরণ না হলে স্যালাইন নেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রত্যয়।