ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫
২ শ্রাবণ ১৪৩২, ২২ মহররম ১৪৪৭

১৯৩ ঘরে ঝুলছে তালা

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
১৯৩ ঘরে ঝুলছে তালা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কালিছালি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ঘরে তালা। পড়ে আছে মিটারবিহীন বিদ্যুৎ সংযোগ। ছবি : কালের কণ্ঠ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের কালিছালি আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন ভূমিহীন মানুষ। গত তিন বছরে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭৭টি ঘর নির্মাণ করা হলেও মাত্র ৮৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৯৩ ঘরে তালা ঝুলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হস্তান্তরকৃত ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও কেউ ওঠেনি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোতে বিদ্যুতের তার টানা হলেও মিটার সংযোগ হয়নি। যেসব ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল, সেগুলোও বকেয়া বিলের জন্য কেটে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অন্যদিকে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র নেওয়ার পরও বেশির ভাগ পরিবারই তাদের ঘরে ওঠেনি। আবার অনেক উপকারভোগীর নিজ নামে ঘর বরাদ্দ থাকলেও সেখানে বসবাস করতে পারছেন না।
অন্য ঘরে থাকছেন।

১৯৩ ঘরে ঝুলছে তালাতবে যাঁরা ঘরে ওঠেননি তাঁদের দাবি, যে জায়গায় ঘর দেওয়া হয়েছে এর পাঁচ-ছয় কিলোমিটারের মধ্যে কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কালিছালি আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়, ৮৪টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হলেও বাস্তবে ৩০টি ঘরে বসবাস করছেন উপকারভোগীরা। বাকি ৫৪টি ঘরেই তালা ঝুলছে।

তালাগুলোতেও জং ধরেছে। বেশির ভাগ ঘরে বৈদ্যুতিক তার টানা হলেও, এখনো হয়নি মিটার সংযোগ। মিটার সংযোগহীন ঘরে অনেকেই বসবাস করছেন। আবার বিদ্যুৎ সংযোগ থাকা ঘরটিও তালা মারা। কেউ বরাদ্দ পাননি।
আশ্রয়ণ এলাকার সড়কধার ও ঘরগুলোর আশপাশে রাতে বাতির কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যা হলেই এলাকায় তৈরি হয় ভূতুড়ে পরিবেশ। এ ছাড়া প্রকল্পে বসবাসকারীদের জন্য পাঁচটি পানীয় জলের নলকূপ নির্মাণ হলেও, সচল আছে দুটি। এতে খাবার পানি সংগ্রহ ও গোসলের সমস্যায় ভুগছেন উপকারভোগীরা। ঘরগুলো পাশাপাশি হওয়ায় বৃষ্টিতে পানি জমে থাকে ঘরের সম্মুখে। অনেকের ঘরের সঙ্গে বৈদ্যুতিক মিটারের মিলও নেই। ফলে উপকারভোগীরা একজনের মিটারের বিল অন্যজন দিচ্ছে।

প্রকল্পের বাসিন্দা আব্দুল জব্বার ও হালিমা বেগম বলেন, ‘এখানে আমাদের পানির খুব সমস্যা। মাত্র দুটি স্থানে অগভীর নলকূপ বসিয়ে খাবার ও গোসলের পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার পরও আমরা কষ্ট করে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো গোসলখানার চারপাশ খোলামেলা।’

রফিক মিয়া ও শ্যামা বেগম নামের দুই বাসিন্দা বলেন, ‘রমজানের আগে এখানে পাওয়া ঘরে উঠেছি। ঘর তো পাইছি, কিন্তু বিদ্যুৎ নেই। রাতের বেলা অন্ধকারে থাকতে হয়। দিনের বেলাও অসহ্য গরমে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। কষ্টের কারণেই অনেক পরিবার এখান থেকে চলে যাচ্ছে।’

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘কালিছালি আশ্রয়ণ প্রকল্পে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩৮টি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ২৭টি ঘরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।’

উপজেলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্যসচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রিজুয়ান বলেন, ‘কালিছালি এলাকায় ২৭৭টি ঘর নির্মাণ করা হলেও প্রথম ও তৃতীয় পর্যায়ের উপকারভোগীদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানরা উপকারভোগী নির্বাচনে বিলম্ব করায় ঘরগুলো খালি পড়ে আছে। এ ছাড়া বরাদ্দকৃত ঘরেও কেউ থাকতে চাচ্ছেন না।’

কমলগঞ্জ আশ্রয়ণ প্রকল্প সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন বলেন, ‘কালিছালি আশ্রয়ণ এলাকাটি দুর্গম হওয়ার কারণে অনেকে সেখানে বসবাস করতে চাচ্ছেন না।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শুভ কাজে সবার পাশে

যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

    টাঙ্গাইলে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সেমিনার
শেয়ার
যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে গতকাল ‘এসো যুক্তিতে আলোকিত হই’ শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

 যুক্তিবোধ ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে এসো যুক্তিতে আলোকিত হই শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

ঢাকা : যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার আয়োজনে এসো যুক্তিতে আলোকিত হই শিরোনামে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতাকলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল পরিবেশদূষণে জনগণের অসচেতনতাই দায়ী

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান শোভনের সভাপতিত্বে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের সাবেক সিনিয়র রোভারমেট ও  বাঁধনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসকিন আহমেদ কাজল, আবৃত্তি সংসদ ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি জাহিদ হোসেন ও বসুন্ধরা শুভসংঘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মো. রাজীব খান। বিতর্কে সরকারি দলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন গগন ঘোষ, মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এমদাদুল হক এবং সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন। অন্যদিকে বিরোধী দলে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন আশিকুর রহমান আশিক, বিরোধীদলীয় উপনেতা আবু নাঈম এবং বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাজমুল। সরকারি দল বলে, জনগণ সচেতন থাকলে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব।
তাঁরা যুক্তি দেন, সবাই সবার জায়গা থেকে সচেতন থাকলে পরিবেশদূষণের কোনো আশঙ্কা থাকবে না।

অন্যদিকে বিরোধী দল বলে, সরকারের কঠোরতাই পারে পরিবেশদূষণ রোধ করতে। বিভিন্ন আইন-কানুন প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবেশদূষণ রোধ করা সম্ভব। বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারীদের  সনদ ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

যুক্তিবোধ-বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতাটাঙ্গাইল : বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে মাদকসেবীদের কাউন্সেলিং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে  সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শহরের বাগানবাড়ি পানির ট্যাংকি বাজারে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগানবাড়ি সমাজপতি আতোয়ার রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেবুব ইসলাম রুমন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত রহমান, কোষাধ্যক্ষ আল আমিন ও প্রচার সম্পাদক সুজন মিয়া।

এতে ২৫ জন মাদকসেবী অংশ নেন। সেমিনারে বলা হয়, আসক্ত ব্যক্তিকে মাদক পরিহারের জন্য বাস্তবসম্মত কৌশল শেখানো হয়, যাতে সে মাদকের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করলেও তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে। ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মাদকের কুফল সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

আরো ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আরো ৬০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মুজিব পরিবারের নাম বাদ

শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে থাকা দেশের আরো ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এসংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে। এতে সই করেছেন উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী। আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ বাতিলের বিষয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।

 

মন্তব্য

বিপিএমসিএ নির্বাচনে সভাপতি মহিউদ্দিন সম্পাদক মোয়াজ্জেম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিপিএমসিএ নির্বাচনে সভাপতি মহিউদ্দিন সম্পাদক মোয়াজ্জেম

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি পদে ডা. শেখ মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ১৫ বছরের পুরনো সংগঠনের এটিই প্রথম নির্বাচন।

 

ডা. মো. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বোর্ড এ নির্বাচন পরিচালনা করে।

সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। গত সাত মেয়াদে সমঝোতার ভিত্তিতে সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এবার নির্বাচন হওয়ায় প্রায় দেড় দশক পর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায় বিপিএমসিএর সাধারণ ভোটাররা।

সারা দেশে বিপিএমসিএর সদস্যসংখ্যা ১১০ জন। এর  মধ্যে ৯২ সদস্য ভোট প্রদান করেন। ২১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির এ নির্বাচনে মহিউদ্দিন-মুকিত প্যানেল ও আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

বিপিএমসিএর নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক।

তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আফরোজা খানম রিতা। তিনি মুন্নু মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।

সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অধ্যাপক ডা. এম এ মুকিত। তিনি সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক।

মন্তব্য

ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল

সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অব্যাহত অবনতি এবং কক্সবাজারে বিএনপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

বিশেষ করে কক্সবাজারে বিএনপির ভারুয়াখালী ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বক্তব্যে গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মব কালচার উসকে দিচ্ছে। তারা ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সংস্কারের নামে কিছু এনজিওকর্মী এখন গণতন্ত্রপন্থী ছাত্ররাজনীতির ভেতরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

একের পর এক সহিংসতা ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে।

সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, একটি গুপ্ত সংগঠন দেশে চক্রান্ত করে চলেছে। আমরা এ অবস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং কক্সবাজারের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছি।

এ ছাড়া বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ও গাড়িবহরে দফায় দফায় হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ